প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 31 Jan 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
সাহিত্য সমালোচনা সাহিত্য পাঠের এক তাত্ত্বিক পদ্ধতি। সাহিত্য ও শিল্প পাঠের নানা মাত্রিক বোঝাপড়া নির্মাণে পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য সমালোচনার অনুশীলন জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে বিদ্যায়তনিকভাবে সাহিত্যের সমালোচনামূলক পাঠ সীমাবদ্ধ পরিসরে অনুশীলিত হয়। বাংলাদেশে শিল্পসাহিত্যের পদ্ধতিগত ক্রিটিক্যাল সমালোচনা একেবারেই অনুপস্থিত বলা যায়। ফলে বিস্তৃত পরিসরে পদ্ধতিগত সমালোচনা না হওয়ার কারণে শিল্পসাহিত্যের চিন্তার দুর্বলতা বা সৃষ্টিশীল চিন্তাগুলো অনুদঘাটিত থেকে যাচ্ছে। বর্তমান বইটিতে বাংলাদেশের সমকালীন সাহিত্য, চলচ্চিত্র, চিত্রকলা, আলোকচিত্র, ফ্যাশন ও মঞ্চ নাটককে লেখকরা পদ্ধতিগত ও বিদ্যায়তনিক জায়গা থেকে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করার প্রয়াস নিয়েছেন।
সাহিত্য ও শিল্প সৃজনের যেসব কৌশল আছে তার ধারাবাহিক পরিবর্তনের নিমিত্তে সাহিত্য পাঠের নানা মানদণ্ডও পরিবর্তিত হয়েছে যুগে যুগে। সাহিত্য সমালোচনার মূল কাজ একটি সাহিত্যকর্মকে কীভাবে আমরা পাঠ করতে পারি সে সম্পর্কিত বিভিন্ন আঙ্গিক তুলে আনা। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন তত্ত্বীয় কাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে সাহিত্য সমালোচনা হয়ে উঠতে পারে আরো অধিক সুসংহত ও সুস্পষ্ট।
বর্তমান বইয়ের প্রতিটি লেখায় তত্ত্বের আঙ্গিকে শিল্পসাহিত্যের যেসব উপাদান পাঠ করা হয়েছে তা একেবারেই দেশীয়; বাংলাসাহিত্য ও শিল্পের পরিমণ্ডল থেকে গৃহীত। এই বইটি বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য আঙিনার কিছু উপাদানকে সাহিত্য-সমালোচনার পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার একটি প্রচেষ্টা।
বইটি সম্পাদনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাসউদ ইমরান। বইটিতে বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন আইনুন জারিয়া, শিবলুল হক শোভন, মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, মাহিসুন রাশ্তি, সামিহা তাহসিন, সুমাইয়া উর্মি, নাবিলা হক মিতু, রেদোওয়ান আহমেদ, সৈয়দ নিজার, মাসউদ ইমরান।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাসউদ ইমরান। তাঁর পিতা মরহুম এম এ ওয়াহেদ এবং মাতা খাদিজা ওয়াহেদ। মেধাবী মাসউদ ইমরান ১৯৯৯ সনে অনুষ্ঠিত স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণী লাভ করেন। একই বিভাগ থেকে ২০০১ সনে অনুষ্ঠিত স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অনুষদ ও ইনস্টিটিউটসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৩ সনে ড. সুরত আলী খান স্বর্ণপদক ও শরফুদ্দিন স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। মাসউদ ইমরান তাঁর মেধাবী ফলাফলের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সনের সরকারি বৃত্তি লাভ করেছিলেন। বর্তমানে মাসউদ ইমরান প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে জি আই এস পদ্ধতি প্রয়ােগ সংক্রান্ত বিষয়ের গবেষণায় নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।