'খাবার যখন রোগ সারায়' বইয়ের ফ্লাপের লেখা প্রাচীন ভারতে চরক, সুশ্রুত ও পরবর্তী আয়ুর্বেদীয় যুগ থেকে নানা ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য-মশলা ইত্যাদিতে রােগ নিরাময় ও প্রতিরােধ ব্যবহারের যে-বিধান’ দেওয়া আছে, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান তাকে গবেষণার আলােয় যাচাই করতে এগিয়ে এসেছে। বিশ্বজডে শুরু হয়েছে এই কাজ। ফাইটোথেরাপি বা ভেষজ চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ শাখা খাদ্য-চিকিৎসা এখন এক গবেষণানিষ্ঠ চিকিৎসাব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠিত এবং সম্ভাব্য কিছু খাদ্যৌষধ নিয়ে লেখা হয়েছে এই গ্রন্থ। অ্যালজাইমার রােগের প্রতিরােধে ও চিকিৎসায় সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শশারগােল ভােলা হলুদ থেকে শুরু করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত খাবারদাবার যে-কোনও খাদ্যৌষধের বিস্তারিত হালহদিশ এই গ্রন্থে পাওয়া যাবে। বাংলা ভাষায় খাদ্যৌষধ নিয়ে লেখা এমন বই এই প্রথম। কার্যকরী ওষুধসংবলিত খাবার-মশলা-খাদ্য উপকরণের খাদ্যগুণ’ প্রাচীন-এর অচলায়তন ভেঙে কীভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের আলােয়। নির্ভরযােগ্য ‘মেডিসিন’ হয়ে উঠেছে, তার অনুপুঙ্খ আলােচনা এই বইয়ের সম্পদ। যে-কোনও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এই পরিশ্রমসাধ্য গ্রন্থটি গাইডবুকের মর্যাদা পাবে।
(Dr. Shyamal Chakraborty) জন্ম ১৯৫৯ সালে, উত্তরপাড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। ষোলো বছর বয়সে “অণু আন্দোলন” পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। স্বাস্থ্য নিয়ে লিখছেন ১৯৮৩ সাল থেকে। একটানা বহু বছর ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকায়। মাঝে সাময়িক ছেদ। ১৯৯২ থেকে আবার লিখছেন নতুন উদ্যমে। বিষয়: স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান আর ভ্ৰমণ। শরীর নিয়ে প্ৰবন্ধ লেখেন বর্তমান, সুস্বাস্থ্য, সাপ্তাহিক বর্তমান, আজকাল, উৎস মানুষ ও প্রতিদিন পত্রিকায়। অরণ্যপ্রেমিক। ফুরসত পেলেই চলে যান অরণ্যের কাছে। ভ্ৰমণকাহিনী লেখেন সানন্দা, ভ্ৰমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন ও অন্যান্য পত্রিকায়। এখন লিখছেন ছোটগল্প, রম্যরচনাও। দীর্ঘ গবেষণার ফসল “স্বপ্ন দেখেন কেন” বইটি পাঠক মহলে আলোড়ন তুলেছে। ডাক্তারি করতে করতে ডাক্তার, লিখতে লিখতে লেখক। প্রচলিত ছকের বাইরে লিখে বেঁচে থাকতে চান এভাবেই। ভাললাগা: ছবি তোলা, বেড়ানো, আর স্বপ্ন দেখা।