যাদেরকে ছাত্র বলে গর্ব করি তাদের অন্যতম একজন আহবাব চৌধুরী খোকন। ছাত্রাবস্থায়ই তার লেখালেখির সূচনা। এখনও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন; প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনো-না কোনো পত্রিকায় সমসাময়িক বিষয়ে কলাম লিখছেন। তার এ বিরামহীন লেখালেখি আমাকে অভিভূত করে। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও একজন সক্রিয় কর্মী।
সম্প্রতি বিশ্ব এক অতিমারী প্রত্যক্ষ করেছে । ক্ষুদ্র এক ভাইরাস প্রায় পুরো বিশ্বকে যেভাবে এলোমেলো করে দিয়েছিল তা কল্পনাতীত। এ ভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, অর্থনীতির গতিপথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। অজানা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিমশিম খাচ্ছিল। ফলে মানুষের জীবনে নেমে এসেছিল এক দুঃসহ অবস্থা। মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল সবকিছু থেকে বা বাধ্য হয়ে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছিল।
‘করোনা কালের ডায়েরি’ বইয়ের লেখক আহবাব চৌধুরী খোকন করোনাকালকে খুব সুক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। ফলে এ সময়ের বাস্তব চিত্র আঁকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তৃতি ও এ থেকে উদ্ভুত নানা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তাকে ভাবিয়েছে। কাছের মানুষদের হারানো তাকে ব্যথিত করেছে, যার ছাপ তার লেখায় খুব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এ বইয়ের লেখায় তার ব্যক্তিক অনুভূতি বর্ণিত হলেও তিনি বিশেষ একটা সময়কে, বিশেষ একটা পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছেন। ফলে ব্যক্তিগত হয়েও তা সর্বজনীন আকার ধারণ করেছে। এখানেই এ বইয়ের বিশেষত্ব। ‘করোনাকালের ডায়েরি’ করোনাকাল নিয়ে আগ্রহী যে-কোনো পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।