এযুগের মানুষ ভুগছে তীব্র মানসিক উদ্বেগে। | পৃথিবী জুড়ে যার পরিচয় টেনশন। এই টেনশন বা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় টালমাটাল মানুষের মন, বিপর্যস্ত তার শরীর। টেনশনের প্রভাবে শুধু শরীর-মনের ব্যাধি নয়, বদলে যাচ্ছে মানুষের আচার-আচরণ, কথাবার্তা, সামাজিকতা। টেনশন থাবা বসাচ্ছে মানুষের মেধা স্মৃতি মননশীলতায়। টেনশনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপনের লক্ষ্যে পৌঁছতে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। এই চাবি হল ‘অ্যাংজাইটি ম্যানেজমেন্ট থেরাপি'। বাংলায় বলা যায় ‘মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞান'। এই বইয়ের পাতায় পাতায় সেই চাপ নিয়ন্ত্রণের হদিশ আত্মনিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে টেনশনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন লেখক। বাচ্চাদের টেনশন, বয়স্ক মানুষের টেনশন, পেশাগত কিংবা ছাত্রছাত্রীদের টেনশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই শুধু নয়, নানা শ্রেণীর নানা বয়সী মানুষের টেনশনজনিত সমস্যা সমাধানের ও নিয়ন্ত্রণে সর্বাধুনিক পরামর্শ পাওয়া যাবে ব্যতিক্রমী এই বইয়ে। টেনশন নিয়ন্ত্রণে নানা দেশি ও বিদেশি রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি শিখিয়ে দেবে এই গ্রন্থ। আবার টেনশন সমস্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আছে যে সব সংস্থা, তাদের সুলুকসন্ধান। সব মিলিয়ে এই বই টেনশনজর্জর আধুনিক মানুষের কাছে চাপমুক্তির সঠিক ঠিকানা
(Dr. Shyamal Chakraborty) জন্ম ১৯৫৯ সালে, উত্তরপাড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। ষোলো বছর বয়সে “অণু আন্দোলন” পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। স্বাস্থ্য নিয়ে লিখছেন ১৯৮৩ সাল থেকে। একটানা বহু বছর ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকায়। মাঝে সাময়িক ছেদ। ১৯৯২ থেকে আবার লিখছেন নতুন উদ্যমে। বিষয়: স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান আর ভ্ৰমণ। শরীর নিয়ে প্ৰবন্ধ লেখেন বর্তমান, সুস্বাস্থ্য, সাপ্তাহিক বর্তমান, আজকাল, উৎস মানুষ ও প্রতিদিন পত্রিকায়। অরণ্যপ্রেমিক। ফুরসত পেলেই চলে যান অরণ্যের কাছে। ভ্ৰমণকাহিনী লেখেন সানন্দা, ভ্ৰমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন ও অন্যান্য পত্রিকায়। এখন লিখছেন ছোটগল্প, রম্যরচনাও। দীর্ঘ গবেষণার ফসল “স্বপ্ন দেখেন কেন” বইটি পাঠক মহলে আলোড়ন তুলেছে। ডাক্তারি করতে করতে ডাক্তার, লিখতে লিখতে লেখক। প্রচলিত ছকের বাইরে লিখে বেঁচে থাকতে চান এভাবেই। ভাললাগা: ছবি তোলা, বেড়ানো, আর স্বপ্ন দেখা।