প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 01 Feb 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
ভূমিকা আপনার ব্রেইন কেমন চলছে আজকাল? সারাদিন এত কিছু ভাবছেন যে মনে হচ্ছে, মাথাটা একেকদিন টোস্টারের মতো ধোঁয়া ছাড়ছে? আর ব্যাংক ব্যালেন্স? একবার চোখ বোলালেই মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা? ঠিক আছে, আপনার জন্য একটা ভালো খবর আছে। এই বইটা আপনার মাথা আর মানিব্যাগ—দুটোরই তাপমাত্রা ঠিকঠাক করার জন্য লেখা। এই বইয়ের নামটা একটু ব্যতিক্রম লাগতে পারে—ব্রেইন ব্যালেন্স = ব্যাংক ব্যালেন্স। কিন্তু সমীকরণটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ট্রু! আমরা যতবার সফল মানুষদের দেখি, ভাবি, “ওহ! এরা এত টাকা কামায় কেমনে?” কিন্তু আসল রহস্যটা জানেন? তাদের ব্রেইন দারুণভাবে ব্যালেন্স করা। যে ব্রেইন চিন্তা করতে পারে, ফোকাস করতে পারে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে—সেই ব্রেইনই একটা ব্যাংক ব্যালেন্স বানাতে পারে; যা আপনার ভবিষ্যৎ বদলে দেবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বইটা আপনার কী কাজে আসবে? ১. মজার ছলে শেখা: এখানে এমন কিছু কনসেপ্ট পাবেন, যা পড়ে আপনি হাসতেও বাধ্য হবেন, ভাবতেও। ২. কোরআন ও বিজ্ঞান: কীভাবে কোরআনের শিক্ষা আর আধুনিক গবেষণার সাথে মিল খুঁজে পেয়ে নিজের জীবনকে সম্পদশালী করবেন, তা জানতে পারবেন। ৩. ব্রেইন-ব্যাংক সংযোগ: আপনার মস্তিষ্ক আর আপনার টাকাপয়সার সম্পর্ক এতটা গভীর, সেটা বুঝলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। ৪. প্র্যাকটিক্যাল টিপস: কীভাবে আপনার চিন্তা-ভাবনা বদলে নিজের জীবন বদলাবেন, সেটার বাস্তবিক গাইডলাইন পাবেন। এই বই আপনার জন্য যদি… • আপনি নিজের মস্তিষ্কের ক্ষমতা UNLOCK করতে চান। • আপনি নিজের ক্যারিয়ার অথবা বিজনেস স্কেলআপ করে আর্থিক জীবন বদলাতে চান। • আপনি একটা “ওয়াও!” জীবন তৈরি করতে চান। যা আপনি ভাবনেনি আগে। বইয়ের ট্যাগলাইন দেখে নিশ্চয়ই আপনার মাথায় ঘুড়পাক খাচ্ছে বিজনেসের বইয়ে সায়েন্স কেন? কারণ সায়েন্স আর প্রিন্সিপাল জানা থাকলে কাজ বাস্তবায়ন অনেক সহজ হয়ে যায়। এই বইয়ের সায়েন্সগুলো আপনি হয়তো স্কুল - কলেজে ফিজিক্সের বইয়ে পড়েছেন; কিন্তু এগুলো যে জীবন বা বিজনেসের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে এটাই এই বইয়ের চমক! একটা ছোট্ট প্রশ্ন: আপনার মাথার ভেতর আসলে কে বসে আছে? একটা অলস, অজুহাতে ঠাসা, দীর্ঘসূত্রিতা আর দিশাহীন ব্রেইন? নাকি একজন স্বপ্নবাজ, কর্মবাজ, প্রফেশনাল প্ল্যানার, যিনি আপনার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবতায় রূপ দেবে? এই বইয়ে আমি এমন কিছু গোপন পদ্ধতি শেয়ার করেছি, যা ব্যবহার করলে আপনার মস্তিষ্কের লুকানো ক্ষমতাগুলো মুক্তি পাবে। আপনি ভাববেন, “আরে! এতদিন এসব জানতামই না!” আসল কথা: এটা শুধু একটা বই না। এটা একটা টুল। এটা একটা ম্যাপ। এটা আপনার ব্রেইন আর ব্যাংক—দুটোকেই রিচার্জ করার গাইড। বইটা গভীর মনযোগে পড়ুন। তারপর আপনার মাথা আর মানিব্যাগ—দুটোই গর্বে ফুলে উঠবে। কারণ, ব্রেইন ব্যালেন্স ঠিক থাকলে, ব্যাংক ব্যালেন্স ঠিক হবেই। মনে রাখবেন, “যা আপনার মাথায়, তাই পাবেন মুঠোয়।” চলুন, ব্রেইনকে আপগ্রেড করা শুরু করি!
কোচ কাঞ্চন। লেখক, উদ্যোক্তা ও হ্যাপিনেস কোচ। কেউ কেউ লেখার জন্য লেখেন, কিছু লেখক জীবনকে উপলব্ধি করে লেখেন। কোচ কাঞ্চন দ্বিতীয় জনরার লেখক; যিনি জীবনের কথা বলেন, জীবনকে নিয়ে ভাবার কথা বলেন। তার লেখনী প্রেরণা দেয়, আর সবচেয়ে বেশি দেয় বেঁচে থাকার এবং নিজেকে শত প্রতিকূলতা থেকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার শক্তি। অ্যাওয়ার্ড উইনিং উদ্যোক্তা, বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্গানিক ব্র্যান্ড ন্যাচারালস-এর ফাউন্ডার কোচ কাঞ্চন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিজনেসকে নিয়ে গেছেন বহির্বিশ্বে। বাংলাদেশি গ্লোবাল ব্র্যান্ড গড়ে তোলার মিশনে ছুটে চলেছেন দেশ-বিদেশে। তার ১৫ বছরের ব্যবসায়িক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত বই বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট। নিজের গল্প আর অভিজ্ঞতাকে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার দুঃসাহসিক প্রয়াস থেকেই লেখক হিসেবে আত্নপ্রকাশ। শুরুটা হয়েছিল ‘রিস্টার্ট ইয়োর লাইফ’ দিয়ে। পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অভিভূত সাড়া, ভালোবাসায় লেখকরূপে নিয়মিত হওয়া। তারপর লিখলেন মাস্টারিং ইয়োর লাইফ। ‘বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট’ তার তৃতীয় বই। লিখে আনন্দ পান। সবচেয়ে তৃপ্তি পান যখন কেউ তার লেখায় অনুপ্রাণিত হন, লাইফে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হাতে নেন। কোচ কাঞ্চন বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা ও সুখ ভিতরে রাখতে নেই, তাকে ছড়িয়ে দিতে হয়। এতে সুখের অনুভূতি আরো দৃঢ় হয়। লেখককে আরো জানতে চাইলে ডিজিটাল যুগে এটা খুবই সহজ। ‘Coach Kanchon’ লিখে গুগল, ফেসবুক, লিংকডইন কিংবা ইন্সটাগ্রাম যেখানেই সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন আরো ডিটেইলস।