দীর্ঘ বছর প্রকাশে বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর অবশেষে এই বছরে প্রকাশিত হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বই "১৯৭৪- এর দুর্ভিক্ষ"
যেখানে উঠে এসেছে এমন অনেক তথ্য যা ভীতির সংস্কৃতিতে চাপা পড়েছিল দীর্ঘ কয়েক যুগ ⚠️
যেখানে উঠে এসেছে (১৯৭২-১৯৭৪) তৎকালীন মিডিয়া পত্র-পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যম গুলোর অপ্রকাশিত সংবাদ ও সাংবাদিকদের লেখা কলাম যা কখনও তৎকালীন সময়ে পত্রিকার হেডলাইন হয়ে উঠেনি বা উঠতে দেয়া হয়নি।
বইয়ের ভেতরের পাতা থেকে খানিকটা লাইন ⬇️
তৎকালীন সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৭৪-এর দুর্ভিক্ষে মাত্র ২৭,৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকৃত অর্থে ঐ হিসাব আসলে যথেষ্ট কম দেখানো হয়েছিলো যেখানে বেসরকারি হিসেবে জানা যায় চুহাত্তরের দুর্ভিক্ষে ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোনো কোনো হিসেবে আবার বলা হয়েছে, '৭৪-এর দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে যেসব গবেষকরা অত্যন্ত রক্ষণশীল হিসাব দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তাঁর মতে '৭৪-এর দুর্ভিক্ষে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একাধিক গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তি ১৫ লাখকে গ্রহণযোগ্য আনুমানিক সংখ্যা হিসেবে ধরেছেন।
এই বইতে দুর্ভিক্ষের কারণ অনুসন্ধানের যথাসম্ভব যৌক্তিক চেষ্টা করা হয়েছে। দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে কেনো ব্যর্থ হলো দেশ সেই ব্যাপারে বিশদ আলোচনা রয়েছে,
দুর্ভিক্ষের সময় নিম্ম মধ্যবিত্তদের ঘরে যখন দুবেলা দূরে থাক এক বেলা খাবার জুটেনি তখন এক শ্রেনীর মানুষ বিলাসি জীবনযাপনের পাশাপাশি ঢাক ঢোল পিটিয়ে আত্মীয় পরিজন নিয়ে ভুরি ভোজের আয়োজন ও করেছে। আয়োজন হয়েছে রাজকীয় বিয়েরও!