খুনের দায়ে অ্যারেস্ট করা হলো নিপাট ভদ্রলোক কামরুল হাসানকে। কিন্তু কাকে হত্যা করেছে সে? কেনই-বা করেছে? পুলিশের কাছে কোনোমতেই মুখ খুলছে না মানুষটা। অন্যদিকে তার স্ত্রী জেসমিন স্বামী সম্পর্কে যেসব তথ্য দিয়েছে, তাতে পিলে চমকে উঠছে পুলিশের। কিন্তু দিন শেষে যখন মুখ খুলল কামরুল হাসান, সবকিছু কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেল ইন্সপেক্টর বাশারের কাছে...নিজের চোখের সামনেই ধরা দিল এক বিরাট ‘প্রশ্নবোধক’!
অ-এ অলৌকিক
পরক্ষণে গা-গোলানো বিদঘুটে শব্দে হাতুড়ির বাড়ি পড়তে লাগল তার মাথায়। প্রায় যন্ত্রের মতো ওঠানামা করতে লাগল ছায়া-সমরজিতের হাতুড়ি ধরা হাত। চারপাশে ছিটকে পড়ল রক্ত, ঘিলু আর হাড়ের কুচি!
অধরা
আলিম মৃধা। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পলায়নপর এক ক্ষমতাহীন নেতার ডান হাত। আমাদের এবারের গল্পটা সেই আলিম মৃধাকে কেন্দ্র করে, যে আখ্যান একই সঙ্গে নির্মম, রোমহর্ষ এবং আধিভৌতিক।
আর এসবের সঙ্গে কীভাবে যেন যুক্ত হয়ে পড়ে ‘অধরা’ নামে এক অসহায় মফস্বলি তরুণী!
বিষ থাকতে পারে!
ছোটবেলা থেকে কোনো এক রহস্যময় কারণে পথকুকুরদের ওপর বিতৃষ্ণা তালেবের। তাই সুযোগ পেলেই সে কুকুরদের ইট ছুড়ে মারে, কখনোবা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। এ কারণে তালেবের নামের সঙ্গে মানুষ জুড়ে দেয় ওই ‘কুত্তা’ শব্দটা, সব মিলিয়ে তার নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘কুত্তা তালেব’।
তারপর কোনো এক বিপন্ন মুহূর্তে তালেব একদিন জানতে পারে রহস্যময় এক পীর বাবার সেই রোমহর্ষ ভবিষ্যদ্বাণী, ‘তর শইলে মিত্যুর ছায়া! তুই বিষ খায়া মরবি!’
শুনে ভীষণ চমকে ওঠে কুত্তা তালেব।
প্রিয় পাঠক, কুত্তা তালেবের বয়ানে তার অন্ধকার জীবনের গল্পে আপনাদের স্বাগত।
ম-তে মুখোশ
জীবনে বিনয় সবকিছু সহ্য করতে পারবে, কিন্তু শান্তাকে হারাতে পারবে না। কখনোই না। তার জন্য যদি টুকটাক খুনখারাবিও করতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই বিনয়ের। সে চোখ বন্ধ করে যে কারও কল্লা নামিয়ে দিতে পারে...তারপর...?
সুস্ময় সুমনের কলমে ৫টি রোমহর্ষ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এবং আধিভৌতিক গল্পের সংকলন ‘প্রশ্নবোধক’, যা একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না আপনি।