বিক্রমপুরের ইতিহাস অনুসন্ধানের প্রথম অভিযাত্রীর নাম শ্রী অম্বিকাচরণ ঘোষ। তিনি 'সোমপ্রকাশ' পত্রিকায় বিক্রমপুরের বিভিন্ন স্থান ও কীর্তির বিবরণ প্রকাশ করেন। ঢাকা কলেজের অধ্যাপক অম্বিকাচরণ ঘোষের এই বিচ্ছিন্ন রচনাগুলোই ১২৭৫ সালের ফাল্গুন মাসে (১৮৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে) গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় 'বিক্রমপুরের ইতিহাস' (প্রাচীন ও আধুনিক বিবরণ) নামে। ঢাকা সুলভ যন্ত্র থেকে এটি মুদ্রণ ও প্রকাশ করেন ঈশানচন্দ্র শীল। এটি কেবল বিক্রমপুর অঞ্চলের নয়, পূর্ববঙ্গের ইতিহাস বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থের মর্যাদা পেতে পারে। এর ৪১ বছর পরে ১৩১৬ সালে (১৯১০) যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বিক্রমপুরের বিস্তৃত তথ্য, দলিল ও চিত্র সংবলিত 'বিক্রমপুরের ইতিহাস' প্রণয়ন করেন। তারও ২২ বছর পর প্রকাশিত হয় হিমাংশু চট্টোপাধ্যায়ের 'বিক্রমপুর ১ম খণ্ড' (১৯৩২)। ছয় বছর ব্যবধানে প্রকাশিত হয় 'বিক্রমপুর ২য় খণ্ড' (১৯৩৬) ও 'বিক্রমপুর ৩য় খণ্ড' (১৯৪০)। তিন খণ্ডে প্রকাশিত এই গ্রন্থে প্রায় দুই হাজার পৃষ্ঠায় বিক্রমপুর জেলার রাজনৈতিক প্রশাসনিক ইতিহাসের পাশাপাশি বর্ধিষ্ণু গ্রামগুলোর বিবরণ এবং কীর্তিমান মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগেও একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যাতে মুন্সিগঞ্জ জেলার সাম্প্রতিক তথ্য সন্নিবিষ্ট হয়েছে। কিন্তু প্রাচীন ওই গ্রন্থ তিনটি ছাড়াও ডক্টর তপন বাগচী সংগৃহীত ও সম্পাদিত 'আনন্দনাথ রায়ের ফরিদপুরের ইতিহাস ১ম ও ২য় খণ্ড' গ্রন্থে বিক্রমপুরের তথ্য পাওয়া যায়। বইটি এতদিন দুষ্প্রাপ্য ছিল। 'বইপত্র' এটি একসঙ্গে প্রকাশ করে।