ড. মুনাওয়ার ছহুল, পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী ও গবেষক আর নেশায় আপাদমস্তক বই-পাগল এক বাঙ্গালী। বাবার সরকারি চাকরীর সুবাদে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় কেটেছে শৈশব। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা মাটি আর মানুষের মিলন কাব্য সেই থেকে মিশে আছে তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। শালবন বিহারের কোল ঘেঁষে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে কৈশোর আর বুয়েটে স্নাতক শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া। যুক্তরাজ্যের ইমপেরিয়াল কলেজে মাস্টার্স আর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক থেকে পিএইচডি শেষ করে বর্তমানে প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ৬ষ্ঠ প্রজন্মের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের উপর গবেষণা করছেন।
লেখালেখিতে হাতেখড়ি আকস্মাৎ - ২০১৬ তে পিএইচডি চলাকালীন বোন-ম্যারো ক্যান্সার (মাল্টিপ্যাল মায়েলোমা) ধরা পড়ে, সে বছরই বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট। ট্রান্সপ্ল্যান্ট পরবর্তী সেরে উঠার সময়টাতে কবিতা লেখার শুরু। ক্যান্সারের সাথে সেই লড়াই এখনও চলছে। ইনফিউশানের সময়টা কিংবা স্টেরয়েডের দৌরাত্ম্যে নির্ঘুম রাতের পুরোটা জুড়েই চলে কবিতার সঙ্গে তার আলাপন। নিজের লেখা কবিতাগুলোকে বলেন শব্দ নামতা। শব্দ নামতাদের মাঝেই খুঁজে নেন ফেলে আসা কৈশোর, যৌবন, প্রিয় জন্মভূমি আর মাতৃভাষার স্পর্শ; খুঁজে নেন ক্রমাগত লড়ে যাবার অদম্য স্পৃহা। শব্দ নামতাদের মত করে বললে কবি পরিচিতি তার নিজের লেখা নিচের পঙক্তি দু’টোতেই এঁটে যায়,