প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 05 Feb 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
" আপনার কোন সমস্যা যদি খাতায় নোট করেন, ঠিকঠাক ভাবে খাতায় লিখেন তা সলভ হওয়ার সম্ভবনা বেশি। "
আমার কি সেটা করা উচিৎ? অনেক কিছুই তো চেষ্টা করেছি। কিডলিনস ল এপ্লাই করে দেখি কী হয়! এখনো সূর্য উঠতে শুরু করেনি। চারপাশে অন্ধকার আর থেকে থেকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ কানে আসছে। ডায়েরি আর পেন্সিল রেখে বারান্দায় এলাম। পুরো শহর গভীর ঘুমে নেতিয়ে আছে। দুই একটা ট্রাকের হর্ণের শব্দ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য কিছু নেই। আমার বারান্দার রেলিঙের ডান পাশের অর্ধেকটা জুড়ে আছে মর্নিং গ্লোরি। সকালের স্নিগ্ধ আলো যখন এই লতানো গাছের উপর আছড়ে পড়বে তখন ছোট্ট কলিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। ছোট ছোট বেগুনি রঙের ফুলগুলো পুরো বারান্দা তখন দখল করে নেয়। আমি কিন্তু অর্ধেকটা বারান্দা তাকে দিয়েছিলাম৷ কিন্তু সে এমন আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে যেন পুরোটাই তার । কফির মগ হাতে নিয়ে ভোরের স্নিগ্ধ আলোতে বারান্দায় পা দেই তখন সেই ফুলের স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য আমার৷ চোঙাকার, অনেকটা ট্রাম্পেটের মতো দেখতে ফুলগুলি। মর্নিং গ্লোরির ফুল সাদা, নীল, গোলাপি, বেগুনি রঙেরও হয়। আমি কেন বেগুনি রঙের ফুলই আনলাম কে জানে!
এই বেগুনি রঙা ফুলের জন্যই হয়তো বারান্দায় আসা৷ এখনো ওরা ফুটতে শুরু করেনি। ছোট টুল টেনে বসে পড়লাম৷ এক কাপ কফি হলে মন্দ হয়না। ইলেকট্রিক হিটারে পানি দিয়ে মোবাইল চার্জে দিলাম। ক্যাম্পাসে এই এক মোবাইলই ভরসা।
কফির মগ নিয়ে বারান্দায় পা দেয়ার পরে খেয়াল করলাম পাখির কিচিরমিচির শব্দের সাথে পাখা ঝাপটানোর শব্দ যোগ হয়েছে। এর অর্থ ভোর হতে শুরু করেছে। সূর্য উঠতে শুরু করবে আর মর্নিং গ্লোরিও ফুটতে শুরু করবে। বেতের চেয়ার বারান্দার এক কোণায় পড়ে ছিল। টুল সরিয়ে বেতের চেয়ারে আরাম করে বসলাম। কফির সুঘ্রাণে পুষ্প বিলাস করবো আমি। হিমু করতো জোছনা বিলাস আমারটা হবে পুষ্প বিলাস৷ হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে উনাকে আমার এই পুষ্প বিলাসে নিমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখতাম। চিঠিটা কিছুটা এমন হতো -
হে মহান প্রিয় লেখক,
আপনি জানেন কি, আমার মন প্রাসাদ ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। সেই উপলক্ষে আমি একটা বিশেষ উৎসব পালন করতে চাই আপনার সাথে। সেই উৎসবের নাম ' পুষ্প বিলাস '। আপনি চাইলে ' মর্নিং গ্লোরি পরিস্ফুটনের বিলাস ' নামও দিতে পারেন। এতে আমার মন খারাপ হবে না। আপনার জন্য ব্ল্যাক কফি আর বেতের চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। তবে আপনার মন খারাপ হতে পারে৷ কারণ ফুলগুলো সব এক রঙা, বেগুনি। বেগুনি কি আপনার প্রিয় রঙ? আমার কিন্তু প্রিয় রঙ হলুদ। তাহলে বলুন তো,কেন আমি হলুদ রঙের মর্নিং গ্লোরি লাগাইনি?
আজকের মতো এটুকুই কেমন? আমার খুব কান্না পাচ্ছে। আর লিখতে পারছি না।
বিঃ দ্রঃ আপনি চাইলে হিমুকে নিয়ে আসতে পারেন। তবে শর্ত হচ্ছে, সে যেন পরিষ্কার পায়ে আসে!
সূর্যের আলো ধীরে ধীরে আমার ফুল গাছের উপর ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফুল গুলোও ফুটতে শুরু করেছে। আকাশও অন্ধকার থেকে বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে যাচ্ছে। পাখিরা তাদের নীড় থেকে মুক্ত আকাশে নিজেদের মুক্তি দিচ্ছে। ধোয়া ওঠা কফির ঘ্রাণ, সবকিছু মিলিয়ে আমার পুষ্প বিলাস করার কথা। কিন্তু আমার কেন যেন কান্না পাচ্ছে। আমার কান্না পাচ্ছে খুব, অনুজ। অনুজ, আমি এখানে বসেছিলাম ' পুষ্প বিলাস ' এর জন্য। কিন্তু আমার ' দুঃখ বিলাস ' করা হয়ে যাচ্ছে। অনুজ...