সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি নরম শিমুলতুলার জীবনের প্রার্থনা দিয়ে শুরু তরুণ কবি জাহিদ হাসান ওয়াসিকের লিখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'জোছনা মেখো রোদ'
যেই গ্রন্থে লেখক তার শব্দ-ছন্দের বুননে চেষ্টা করেছেন মানুষের জীবন, জীবনসংগ্রাম, কোলাহল, কলরব, নীরবতা, প্রেম, বিরহ, বিপ্লব প্রত্যেকটা অনুভুতির এক অপূর্ব উপাখ্যান রচনা করতে।
তিনি যেমন একটি সহজ জলফড়িংয়ের জীবন প্রার্থনা করেছেন তেমনি আবার লিখেছেন
অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার আওয়াজে তিনি ক্ষমা রাখেননি কোনোরূপ।
আবার তার 'গোলাপ যার অস্ত্র' কবিতায় উনি কেবল ভালোবাসাকেই তার অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যাবতীয় বিষাদ, ক্ষোভের প্রতিবাদে 'ভালোবেসে' নিতে চেয়েছেন তার প্রতিশোধ।
এছাড়া একজন প্রেমিকের চাতক রূপে প্রেম চেয়ে যাওয়াকেও সুনিপুন কালিতে বর্ণনা করে গেছেন তিনি একের পর এক কবিতায়। লিখেছেন প্রেমিকার প্রত্যাখান কিভাবে তাকে ব্যথিত করে, তোলপাড় করে দেয় তার দুনিয়া।
প্রেমিকাকে ভালোবেসে তার সমস্ত জীবন সেই মানুষের বেণীতে বেঁধে দিতে চেয়েছেন, চেয়েছেন প্রিয়তমার শত বিষাদ চুরি করে নিজে গিলে ফেলতে সেই হেমলক।
তিনি লিখেছেন কিভাবে আলো নিভে গেলে মানুষ একা, কিভাবে কারো দূর্দিনে কেউ থাকে না পাশে।
তার লিখা থেকে বাদ যায়নি সুদূর ফিলিস্তিনও। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ফুটিয়ে তুলেছেন আল আক্বসা একদিন মাজলুমের হবে। লিখেছেন পিতা মাতার দীর্ঘায়ুর আবেদন। লিখেছেন সুদিনের অভিপ্রায়।
এসকল অনুভূতি ও যাপিত জীবনের সেলাইয়েই বাঁধা হয়েছে ওয়াসিকের "জোছনা মেখো রোদ"।
লেখক তার কল্পনায় জীবন আর তার বিপ্লব,সংগ্রাম কে 'রোদ' আর প্রেমকে 'জোছনা' কল্পনা করে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম রেখেছেন 'জোছনা মেখো রোদ'।
রোদে উত্তপ্ত সকল আত্মাকে আহবান করেছেন প্রেমের কোমল জোছনাডোবা পরশ মাখতে । শিরোনাম কবিতায় লিখেছেন—