“শয়তান পরিচিতি" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্যেই শয়তান চেনা দরকার। তাই আসুন আল্লাহ শয়তান সম্পর্কে যতগুলাে আয়াত নাজিল করেছেন তার সব গুলােই এবং শয়তানকে চিনার চেষ্টা করি। এড্রিনকে বিষ বলে চিনতে ভুল করে তাকে ঔষধ মনে করে খেয়ে যে অনেক মানুষ মারা গেছে তার কিছু ঘটনা আমাদের সামনেই ঘটেছে। একবার খবরের কাগজে পড়লাম এক মা তার অসুস্থ মেয়েকে বলছে “তাের ঔষুধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তুই নিজে গিয়ে দ্যাখগে আলমারীর মধ্যে একটা শিশিতে ঔষুধ আছে ওখান থেকে ১ দাগ ঔষুধ ঢেলে খেয়ে নিগে যা’ বাছ অমনি তার অসুস্থ্য মেয়েটা আলমারী খুলে দ্যাখে যে দুটো শিশিতে ঔষুধ রয়েছে যার একটায় ছিল খাব্যকার ঔষুধ আর অপর শিশিতে ছিল এড্রিন সে এভ্রিকেই ঔষুধের শিশি মনে করে তার থেকে এক দাগ ঔষুধ (যা আসলে ছিল এন্ড্রিন বা বিষ ঢেলে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে তার মা জানাতে পারল যে সে ঔষুধ মনে করে এড্রিন খেয়ে ফেলেছে। সে যদি সত্যকার অর্থে চিনতেই পারতাে যে এটা ঔষুধ নয়। এটা বিষ তাহলে তা কি খেয়ে মরত? কিছুতেই তার ধারে কাছে যেত না এবং মরতােও না। ঠিক তেমনই এড্রিনের হাত থেকে বাঁচতে হলে যেমন এড্রিনকে চিনতে হয় তেমন শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে হলেও শয়তানকে চিনতে হয়। তাই শয়তানকে চিনার জন্যে আমি আল-কুরআনে যেখানে যেখানে শয়তানের উল্লেখ আছে তার সব জায়গা থেকেই সবগুলাে আয়াত অনুবাদ এবং সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা সহ এখানে হাজির করছি এই নিয়তে যেন শয়তানকে চিনতে আমরা কেউ ভুল না করি। আল্লাহ শয়তানকে এক স্থানে খান্নাস বলেছেন, ১১ স্থানে ইবলিছ নামে উল্লেখ করেছেন এবং শয়তান নামে উল্লেখ করেছেন ৮৮ স্থানে তাহলে মােট হল ১০০ জায়গায়। (আল কুরআন) শয়তানের কথা বলেছেন, এবার এক পাশ থেকে পড়তে থাকুন এবং শয়তানকে বুঝার চেষ্টা করুন যেন তার খপ্পর থেকে আমরা সবাই বাচতে পারি, পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন এবং গােটা মুসলিম জাতিকে হুশিয়ার করতে পারি। এবার আল-কুরআন থেকে শয়তানকে যে যে নামে যে সব পারাতে উল্লেখ করা হয়েছে নিন্মে ক্ৰমিক পর্যায়ে সাজিয়ে পাঠক পাঠিকাদের অবগতির জন্যে তা পেষ করা হলাে। এর মধ্যে কিছু আছে মানুষরূপী শয়তানের কথা, কিছু আছে জ্বীন শয়তানের কথা আর কিছু আছে আসল শয়তানের কথা যা অর্থ এবং সংক্ষিপ্তে ব্যাখ্যা থেকে বােঝা যাবে।