"অভিশপ্ত ইহুদী জাতির বেঈমানীর ইতিহাস " বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা ও বৃটিশদের মদদের জের ধরেই ফিলিস্তিনে ইহুদী বসতি গড়ে উঠে। আস্তে আস্তে ফিলিস্তিনের একটি অংশকে তারা একটি দেশ হিসেবেই গঠন করে। ইহুদীদের নিজস্ব আবাস ভূমি গঠনের জন্য একমাত্র এলাকা ফিলিস্তিন ছিলাে না। প্রথমে আর্জেন্টিনা, কেনিয়া এমন কি ভারতও বিবেচনায় ছিলাে। আর্জেন্টিনা ও কেনিয়ায় ইহুদীদের বসতির জন্য ভূমিও বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিলাে। কেনিয়াতেই উয়াসিন জিশুয়া মালভূমীতে ইহুদীদের জন্য ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিলাে ১৯১৬ সালে। তার পরের বছরই ১৯১৭ সালে বেলকোর ঘােষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদী বসতিস্থাপনের কথা বলা হয়। ১৯০০ সালে ফিলিস্তিনে ইহুদী জনসংখ্যা ছিলাে মাত্র ৫০ হাজার। আর ১৯৪৮ সালে বৃটিশ ম্যাণ্ডেট প্রত্যাহারের সময় সেখানে ইহুদী সংখ্যা গিয়ে পৌছে ৭ লাখ ৬০ হাজার। তাদের এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে বৃটেনের প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ মদদ ছিলাে। পরবর্তীকালে আমেরিকা ইসরাঈলকে সব রকমের সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। অ্যাংলাে আমেরিকান প্রত্যক্ষ মদদেই ইসরাঈল আজ যে কোনাে ধরনের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা চালাতে ত্রুটি করছে না (তথ্য সূত্র দৈনিক সংগ্রাম ১২ জুন ২০০২ ৪ লক্ষ বিশ্ব শাসন)।.. এসব বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার হালের কিছু ফটোচিত্রও বইটিতে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ইহুদী চক্রান্ত রুখার ও দাজ্জালী মূর্তি প্রতিহত করার জন্য মুসলিম বিশ্বের এক হতে হবে—আর হবেও। পরিশেষে বিজয় মুসলিম উম্মাহর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভবিষ্যদ্বাণী আছে। আর আছে বলেই এ ভবিষ্যদ্বাণীকে ব্যর্থ ও বিফল করে দেবার জন্য ইহুদী জাতি তাদের দোসর খৃস্টান জাতি হালে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু সম্রাজ্যবাদী শক্তি এদের সঙ্গে যােগ হয়েছে।