“মালয়েশিয়ার মহানায়ক ড. মাহাথির মোহাম্মদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ পৃথিবীর ইতিহাসে আদিকাল হতে আজ পর্যন্ত কত রাষ্ট্রনায়কই তাে দেশ শাসন করেছেন। তাদের কেউ কেউ জয় করেছেন দেশের পর দেশ। এদের অধিকাংশই দেশের জনগণের মন জয়ের চেয়ে দেশ জয়কেই বড় করে দেখেছেন। আবার তাদের দেশ জয়ের পেছনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেয়ে নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের ইচ্ছেটাই ছিল বেশি। এতে করে সর্বকালেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ জনগণ। তারপরও লাঞ্ছিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত জনগণের পুঞ্জিভূত কামনায় সৎ ও সুযােগ্য নেতৃত্ব এসেছে যুগে যুগে। তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন জনগণকে আলাের পথ দেখাতে চেষ্টা করেছেন বার বার। বর্তমান পৃথিবীতে সে রকম কয়েকজন নেতা বা রাষ্ট্রনায়কের নাম স্মরণ করলে প্রথমেই যাঁর নাম ভেসে ওঠে আমাদের মানসপটে, তিনি হলেন। মালয়েশিয়ার মহানায়ক ড. মাহাথির বিন মােহাম্মদ। দেশ-কালের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি পরিণত হয়েছেন এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে। অবশ্য তাঁর জীবন চলার পথ ইতিহাসের সেই “এলেন, দেখলেন। এবং জয় করলেন” গল্পের মতাে অতােটা সহজসূত্রে গাঁথা নয়। বরং তাঁকে দেশের শাসন কাজে নেতৃত্বের নানা চড়াই-উত্রাই পার হতে হয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মােকাবেলা করে। সে সব টালমাটাল পরিস্থিতি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করে তিনি প্রমাণ করেছেন তাঁর নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা। তাঁর এই বলিষ্ঠ দূরদর্শি নেতৃত্বের গুণেই মালয়েশিয়া আজ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সর্বোপরি আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করে এশিয়ার অন্যতম একটি শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। সে সাথে তিনি হয়েছেন দেশকালের সীমার বাইরে একজন বিশ্বনেতা। তাঁর সাক্ষাঙ্কার ও ঐতিহাসিক ভাষণসমূহ সত্য সন্ধানিদের পথ প্রদর্শন করবে চিরকাল। তাঁর জীবনীতে রয়েছে ছাত্র-শিক্ষক, ডাক্তারইঞ্জিনিয়ার, উকিল-ব্যারিস্টার, আলেম-উলামা; সর্বোপরি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য অমূল্য শিক্ষা।