"অর্থবহ জীবনের সন্ধানে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ অর্থবহ জীবন (A meaningful life) তাে সবারই কাম্য। জীবনটাকে কি করে নানাদিক দিয়ে অর্থবহ করা যায় সেই উদ্দেশ্য নিয়েই বইটি রচিত। বইটি মূলত আত্ম-উন্নয়নমূলক, ইংরেজিতে যাকে বলে Self help book. জীবনে অর্থের প্রয়ােজন অনস্বীকার্য। তাই কর্মজীবনে উন্নতি এবং প্রতিষ্ঠা লাভের জন্যে কী কী করণীয় সেই সম্পর্কে আলােচনা বইটিতে প্রাধান্য পেয়েছে। তবে আলােচনার পরিধিটাকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে মানুষের জীবনের সামগ্রিক সার্থকতা লাভে সহায়ক অন্যান্য প্রসঙ্গও টেনে আনা হয়েছে। খাদ্য, পানীয়, স্বাস্থ্য, স্ট্রেস, টেনশন, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা, পারিবারিকসামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্য, ন্যায়নীতি, চরিত্রগঠন, সন্তান পালন, মানি-ম্যানেজমেন্ট, সৌন্দর্যচর্চা, রিপু শাসন, মানবিক গুণাবলী, শান্তি অনুসন্ধানের বিভিন্ন পন্থা ইত্যাদিও গ্রন্থটিতে আলােচিত হয়েছে নানা পরিপ্রেক্ষিতে। গুরুতর বিষয়ের ফাঁকে ফাঁকে ভিন্নধরনের কিছু কিছু কথাও স্থান পেয়েছে যাতে বইটি পড়তে গিয়ে একঘেয়ে মনে না হয়। এক কথায় বলা যায় সুন্দর, সার্থক জীবনের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই এটি।
সাইদুল হােসেনের জন্ম ১৯৩৩ সনে কুমিল্লা (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া) জেলায়। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামে, তারপর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরে। ১৯৫৫ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (ঢাকা ইউনিভার্সিটি) থেকে বি.কম. পাস করেন। কর্মজীবনের শুরু ১৯৫৪ সালে। ১৯৫৬ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত একটানা ২৬ বছর একাধিক আধাসরকারী কর্পোরেশনে চীফ অডিটর, ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার, চেয়ারম্যান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্যানাডার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত দেশের প্রাইভেট সেক্টরে অডিটিং, ম্যানেজমেন্ট কন্সালটেন্সি, পারসােনেল ট্রেনিং সংক্রান্ত পেশায় জড়িত ছিলেন। United Nations-এর FAO-এর জন্যে তাদের ন্যাশনাল অ্যাণ্ড ইন্টারন্যাশনাল কন্সালটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। ১৯৯১ থেকে ক্যানাডায় সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখির শুরু ১৯৯২ সাল থেকে অর্থবহ জীবনের সন্ধানে-সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা সাত - ইসলাম কুরআন ও হাদীস, Islam: A Brief outline, আজো মনে পড়ে, কবিতা অধরা, মনের আয়নাতে এবং Thoughts on Islam তার প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ।