“শেখ সাদী (র.) ১৫২ গল্প” বইটির প্রথম অংশের কিছু কথাঃ বাদশাহদের ঘটনাঃ কবি বলেন, একদিন এক বাদশাহকে বলতে শুনলাম, সে এক বন্দীকে হত্যা করতে আদেশ দিচ্ছেন। তখন বন্দী নিরাশ হয়ে বাদশাহকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে লাগল। কথিত আছে, যে ব্যক্তি জীবনের আশা ত্যাগ করে, তার মনে যা থাকে তাই সে প্রকাশ করে দেয়। وقت ضررت ندچوں نماند گریز ওয়াক্তে জরুত চু নামানা গরেজ دست بگیرد سر شمشیر تیز দন্তে বগীরা ছারে শাম্শিরে তেজ। অর্থাৎঃ কবি বলেন, অসহায় অবস্থায় যখন পলায়ন করার আর পথ না পায়, তখন ধারাল তলােয়ারের অগ্রভাগ ধরতে সে দ্বিধা করে না। ব্যাখ্যা : যখন কোন ব্যক্তি শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং তার মৃত্যুর আশংকা দেখে, পালাবার পথ না পায়, তখন নৈরাশ্য অবস্থায় মনের সব সাহস অর্জন করে শত্রুর মােকাবেলা করতে উদ্যত হয়, যদি সে ধারাল তলােয়ারের আঘাত প্রতিরােধ করতে অন্য কোন কিছু না পায়, তখন সে তার নিজের কোমল হাত দ্বারা তা প্রতিরােধ করে। তাতে সে সফল হােক বা না হােক। যেমনবয়াতে কবি বলেছেন اذا يئس الانسان طال لسانه ইযা ইয়াইসাল ইনসানু তালা লেসানুহু, کسنور رمغلوب يصول على الكلب কাসিন নাওরেম মাগলুঙ্গি’ ইয়াসুলু আলাল কালবি। অর্থাৎ ঃ কবি বলেন, জীবনের কঠিন মুহূর্তে মানুষ যখন নিরাশ হয়ে যায় তখন তার জিহ্বা লম্বা হয়ে যায় অর্থাৎ মুখে যা আসে তাই বলে থাকে। যেমনবিড়াল, কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে উপায় না দেখে নিজের ছোেট থাবা দ্বারা কুকুরকে উল্টো আক্রমণ করে এবং সে কুকুরকে আঘাত করতে চেষ্টা করে। সূচীপত্র প্রথম অধ্যায় বাদশাহদের ঘটনা দ্বিতীয় অধ্যায় দরবেশদের চরিত্র সম্পর্কে তৃতীয় অধ্যায় ধৈর্যের ফযীলত সম্পর্কে চতুর্থ অধ্যায় নিরবতা অবলম্বন করার উপকারিতা পঞ্চম অধ্যায় যৌবনকাল ও এশক সম্পর্কীত উপদেশাবলি ষষ্ঠ অধ্যায় বার্ধক্য ও দুর্বলতা সপ্তম অধ্যায় শিক্ষার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত উপদেশশেখ সাদী (রহ.)-এর সাথে বিরুদ্ধবাদীর দরিদ্রতা ও স্বচ্ছলতা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক অষ্টম অধ্যায় সাহচর্যের পদ্ধতি সম্পর্কে উপদেশ