"খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যোহরা" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া: রসূলুল্লাহ্ (দঃ) কন্যা হযরত ফাতেমা যােহারা (রাঃ) ইসলামের ইতিহাসে যে আসনে অধিষ্ঠিত হইয়া আছেন তাহা মুসলিম জাহানের কাহারাে অজানার কথা নয়। তিনি ছিলেন রসূলে খােদার (দঃ) শ্রেষ্ঠতমা স্নেহের দুলালী, শেরে খােদা হযরত আলীর (রাঃ) প্রিয়তমা ভার্যা, শ্রেষ্ঠতম শহীদ হযরত ইমাম হাসান এবং হযরত ইমাম হােসায়েনের শ্রদ্ধেয়া জননী, বেহেশতবাসিনী রমণীকুলের রাণী। শুধু কি ইহাই ? সবার উপরে তিনি ছিলেন ধর্মে, কর্মে, জ্ঞানে, গুণে, ত্যাগে, সাধনায়, কষ্ট-সহিষ্ণুতায় ও চরিত্র মহিমায় মুসলিম নারীজগতের আদর্শ। তুলনা তাঁহার শুধু তিনিই। তাই এই মহীয়সী নারীর জীবন-আলেখ্য দুনিয়ার মুসলিম-রমণী তথা বিশ্ব নারী সমাজের এক মহাসম্পদ, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? কিন্তু পরম পরিতাপ ও দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের পূর্ববর্তী ঐতিহাসিকগণ চরম অবহেলাবশে এই অমূল্য জীবন-গাথাকে সুসংবদ্ধ না করিয়া এখানে সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে সাজাইয়া গিয়াছেন। যাহাই হউক, আমি তাঁহাদের সেই বিভিন্ন পুঁজি সম্মুখে লইয়াই নারী-সম্রাজ্ঞী খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যােহ্রার (রাঃ) একখানি ক্ষুদ্র জীবন-আলেখ্য রচনা করিতে প্রয়াস পাইয়াছি। সফলতা ইহাতে কতটুকু লাভ করিয়াছি বলিতে পারি না; কিন্তু ভরসা রাখিতেছি, নারী-চরিত্র গঠন করিতে ইহা অল্প-বিস্তর সমাজকে নিশ্চয়ই সাহায্য করিবে ।