"হযরত শাহজালাল ও শাহ পরান (রহ.)" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া: হযরত শাহজালাল (রহঃ) লেখকের ভাষায় সিলেটের ইতিহাসে : একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু আমরা বলিব, তিনি বঙ্গ-ভারতের উজ্জ্বল রবি। তাঁহার দ্বীপ্ত ধর্মালােকে আজ সমুদ্ভাসিত বঙ্গভারতের সমগ্র এলাকা। সত্যিই তিনি সুফী সম্রাট। লিখক যা বলেন ধ্রুব সত্য সাধারণ রাজা বা সম্রাটগণ রাজত্ব করেন জীবিত কালেই, তা’ মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ। কিন্তু সুফী সম্রাটগণ রাজত্ব চালান । তাঁহাদের পরলােক যাত্রার পরেও। শাহ্জালালের মাযার শরীফ। ইহারই সাক্ষ্য বহনকারী । আমীর, ওমারা, জ্ঞানী, গুণী ও : সাধারণ লােক এ মাযার শরীফে যে বিপুল ভিড় জামাইয়া থাকে তাহাতে কে বলিবে যে ইহা কোন পরাক্রমশালী রাজ দরবার ছাড়া আর কিছু? তার সাথে সাথে স্মরণ করিব তদীয় ভাগিনেয় হযরত শাহপণের কথা; যাহার জীবন-ঘটনা শুধু সিলেটেই নয় সারা বাংলার জন-মানুষের মুখে মুখে। তাঁহার মাযারেও দেখা যাইতেছে অবিকল সেই একই দৃশ্য। দুই মাযারে শায়িত সুফীরাজ শাহজালাল ও শাহপণের জীবনালেক্ষ্য সত্যিই বড় অদ্ভুত, বড় বিচিত্র; বহু কীর্তি ও সাধনা সমৃদ্ধ এ জীবন কাহিনী । গ্রন্থকারও বড় সার্থক রূপায়ন ঘটাইয়াছেন এ জীবনী দ্বায়ের। পুস্তক সম্পাদনায় মাওলানা মােঃ ইউনুসের ভূমিকা সত্যিই ।