“যাকাত কিভাবে দিবেন” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ پاتال آلا الذين ينزون الهب والفضة ولاينفقونها في سبيل الله بهم بعذاب أليم في يوم می عليها في نار جهم فتگوی پها جبا هم وجوهم وظهورهم هذا ماگم لا ثفسگم فذوقوا ما کنتم تکنژون (التوبه : ۳۶- ۳۵) ‘আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদেরকে কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলাে যা তােমরা নিজেদের জন্যে জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং এখন আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।' (তাওবা :৩৪-৩৫] প্রিয় পাঠক! আজ যে বিষয়টি সম্পর্কে আমি আলােকপাত করতে চাচ্ছি তাহলাে, ইসলামের একটি অন্যতম রুন যাকাত’। যাকাতের অনিবার্যতা, গুরুত্ব, মর্যাদা ও প্রয়ােজনীয় বিধি-বিধান সংক্ষেপে তুলে ধরতে সচেষ্ট হবাে আমরা এখানে- যাতে আমরা সেই অনুযায়ী যাকাত আদায় করতে পারি। লাভ করতে পারি যাকাতের সমুহ কল্যাণ! আপনি যাকাত কিভাবে দিবেন সূচিপত্রঃ * কঠিন হুশিয়ারি * সম্পদ কোথেকে আসে * ক্রেতা কে পাঠাচ্ছে? * একটি শিক্ষণীয় ঘটনা * কর্মবণ্টন আল্লাহর থেকেই হয় * ফসল কে উৎপাদন করেন? * সৃষ্টি করার ক্ষমতা মানুষের নেই * আল্লাহই প্রকৃত মালিক * শতকরা আড়াই টাকা মাত্র * যাকাতের তাগিদ * যাকাত হিসাব করে দিতে হবে * ধ্বংসের কারণ * যাকাতের পার্থিব লাভ * যদি বরকত না থাকে * যাকাতের নিসাব * প্রতিটি টাকার উপর বছর পার হতে হবে এমনটি জরুরি নয় * যাকাত আদায়ের দিন যে অর্থের সে মালিক যাকাত শুধু ওই অর্থেরই দিবে * যেসব জিনিসের উপর যাকাত আসে * এখানে ‘আকল’ খাটানো ঠিক নয় * ইবাদত আল্লাহর নির্দেশ * ব্যবসায়িক সামান-পত্রের মূল্য নির্ধারণের উপায় * ব্যবসায়িক সম্পদের পরিধি * মূল্য ধরা হবে কবে’র? * কোম্পানীর শেয়ারের উপরও যাকাত ওয়াজিব * কারখানার যেসব জিনিসের উপর যাকাত ওয়াজিব হয় * প্রাপ্তি নিশ্চিত পাওনার যাকাত * ঋণ এবং যাকাত * ঋণ দুই প্রকার * ব্যবসায়িক ঋণ কখন কাটা যায় * ঋণের উপমা * যাকাত খাত মত দিতে হবে * যাকাতের উপযুক্ত কে? * যাকাত গ্রহীতাকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে * কোন ধরনের আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত দেবে * বিধবা এবং এতীমকে যাকাতদানের বিধান * ব্যাংকের মাধ্যমে যাকাত প্রদান * একাউন্টের টাকা থেকে ঋণ কর্তনের পন্থা * শেয়ারের যাকাত কর্তন * যাকাতের তারিখ * যাকাতের জন্যে রমযান মাসকেই * নির্ধারিত করা কি ঠিক?
মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৬৭, মুন্সীগঞ্জ দাওরায়ে হাদীস ও আরবি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি, দারুল উলুম দেওবন্দ পেশা : শিক্ষকতা প্রিয় শহর : মক্কা মুকাররামা ও মদীনা মুনাওয়ারা। উল্লেখযােগ্য মৌলিক গ্রন্থ ত্রিভুবনের প্রিয় মুহমদ (সা.), ভয়-স্বপ্ন সংগ্রাম, নারীর শত্রু মিত্র, সাহসের গল্প, সাহিত্যের ক্লাস, বক্তৃতার ক্লাস, ইসলামে জীবিকার নিরাপত্তা, ভুবনজয়ী নারী, শহীদানের গল্প শােন (১-৩), তােমার অলৌকিকতায় আজো অবাক পৃথিবী, ইসলাম একালের ধর্ম, আকাশে অঙ্কিত নাম। অনূদিত গ্রন্থ কুরআন অধ্যয়নের মূলনীতি, তাজা ঈমানের ডাক, হালাল হারাম, আমেরিকান নওমুসলিমদের ঈমানদীপ্ত কাহিনী, ইসলাম একমাত্র জীবনবিধান, হাদীসের দর্পণে আমাদের কাল, মানবতার নবী, আলােকিত নারী, দেশে দেশে, ইসলাম ও ফ্যাশনের সংঘাত, নির্বাচিত বয়ান (১-২), ভারতীয় নওমুসলিমদের ঈমান জাগানিয়া সাক্ষাৎকার, আল্লাহকে যদি পেতে চাও প্রভৃতি।