বইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ: * ইসরাঈলের রাষ্ট্র ক্ষমতা ও কুরআনে কারীম * ইয়াহুদী জাতি সম্পর্কে আল কুরআনের একাধিক ঘােষণা * প্রথম ঘােষণা : লাঞ্ছনা ও আত্মগ্লানি * জিল্লাত বা লাঞ্ছনা। * মাসকানাত বা আত্মগ্লানি * ইয়াহুদীদের পরােক্ষ লাঞ্ছনার কুরআনী ব্যাখ্যা * ইয়াহুদীদের প্রত্যক্ষ লাঞ্ছনার কুরআনী ব্যাখ্যা। * ইসরাঈলের প্রতি ইউরােপিয়ানদের প্রতারণাময় সহানুভূতি * ইয়াহুদীদের সর্বকালে স্থায়ী লাঞ্ছনার প্রকৃত কারণ। * ইয়াহুদীদের উপর ঈসা (আ.)-এর অনুসারীদের সর্বকালীন শ্রেষ্ঠত্ব * ঈসা (আ.)-এর প্রকৃত অনুসারী কারা ? * বর্তমান খৃষ্টানরা ঈসা (আ.)-এর প্রকৃত অনুসারী নয় * প্রকৃত অর্থে ঈসা (আ.)-এর অনুসারী শুধুমাত্র মুসলমানরাই * বিত্ত ও ক্ষমতার সাথে লাঞ্ছনা একত্র হতে পারে * ইয়াহুদীদের পরােক্ষ লাঞ্ছনা পার্থিব ক্ষমতার পরিপন্থী নয় * ইয়াহুদীদের লাঞ্ছনা মুক্তির কুরআনী দিক নির্দেশনা। * ইসরাঈল : মূলত বৃটেন ও আমেরিকার সেনা ছাউনি * রক্তচোষা জাতি। * জাগতিক শক্তি ও চারিত্রিক অধঃপতনের সমন্বয় ঘটতে পারে * ইসরাঈল মূলত : আমেরিকা ও বৃটেনের ক্রীড়নক এক নব্য উপনিবেশ * সব যুগেই ইয়াহুদীরা ঈসা (আ.)-এর অনুসারীদের অনুগত ছিল। * ইয়াহুদীদের জাগতিক সম্মান ও চারিত্রিক লাঞ্ছনার মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই।
কারী মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি (জন্ম: ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৭ জুলাই ১৯৮৩) ভারতীয় ও দেওবন্দি ধারার ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবির দৌহিত্র। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম (উপাচার্য) ছিলেন। তার পিতার নাম মাওলানা হাফেয মুহাম্মাদ আহমদ। সাত বছর বয়সে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন। প্রথমে কুরআন হিফজ করেন। তারপর পাঁচ বছর ফারসী, গণিত স্তরের শিক্ষা অর্জন করে আরবির সিলেবাস আরম্ভ করেন। হাদিসের বিশেষ সনদ তিনি লাভ করেছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ., আযীযুর রহমান উসমানী, হাবীবুর রহমান উসমানী, শাব্বীর আহমদ উসমানী এবং আসগর হুসাইনের মতো বিখ্যাত মনীষীগণ থেকে। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। ১৯২৪ সালের শুরুতে দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম এবং ১৯২৯ সালে তাকে মুহতামিম করা হয়। তার আমলে দারুল উলূমে ব্যাপক উন্নতি হয়। মুসলিম ইউনিভার্সিটি আলীগড় এবং অন্যান্য ইউনিভার্সিটিসমূহে তার বয়ান ছিল বিশেষ সমাদৃত । তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা শ’য়ের কাছাকাছি।