ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা টক টক্----- ঝাল কিংবা টক্ ঝাল-মিষ্টি। আচার তৈরিতে প্রধান তিন উপাদান। জিভে জল এসে যায়। খাবারের আয়োজনে বাড়তি স্বাদের প্রয়োজন মেটাতে আচারের বিকল্প নেই। গৃহিণীদের রান্নাঘরে আম, জলপাই, বড়ুই, তেঁতুল, আমলকি কিংবা লেবুর আচার পাওয়া যাবে না এমনটি ভাবাই যায় না। ছোট বেলায় আমার দাদীমা যখন বগুড়া থেকে ঢাকায় আসতেন, সঙ্গে নিয়ে আসতেন হাতে তৈরি নানা রকম খাবার। কয়েক রকম আচারতো থাকতেই। আচারের বোতল নিয়ে সবাই মিলে সে কি কাড়াকাড়ি। আজও সে আচারের স্বাদ মুখে লেপে আছে। খাবারের আয়োজন নিয়ে কত রকম লেখালেখি হয়েছে, অথচ আচার তৈরি বিষয়ে একটিও বই লেখা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সে উপলদ্ধি থেকে এ বইটি লেখা সুস্বাদু খাবার খেতে কে না ভালোবাসে। খাবারের সাথে একটুখান আচার মিশিয়ে নিলে তা হয়ে উঠে যথেষ্টই মুখরোচক। এ বইতে কয়েক রকম আচার বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে লেখা হয়েছে। এগুলো বানাতে সময়ও লাগবে খুব কম। আর তাই এ বইটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ঝটপট আচার।’ আমার লেখা অন্য ছয়টি রান্নার বইয়ের মতো আশা করি এ বইটিও আপনাদের পছন্দ হবে।
কেকা ফেরদৌসীর জন্ম ৪ আগস্ট ১৯৬০ সালে, ঢাকায়। বাবা মরহুম ফজলুল হক ছিলেন চলচ্চিত্র সংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। মা কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। স্বামী ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক ও শিল্পপতি আব্দুল মুকিত মজুমদার (বাবু)। দুই সন্তান সোনালী ও আকাশ। কেকা ফেরদৌসী ১৯৮০ সালে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার সময় বিদেশী রান্নার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ও বাংলাদেশী রান্না বিদেশীদের কাছে পরিচিত করেন। ১৯৮৪ সালে দেশে ফিরে দেশী ও বিদেশী রান্না নিয়ে তার আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হয় । বর্তমানে তিনি “কেকা ফেরদৌসীর রান্নাঘর’ নামে একটি রান্নার স্কুল পরিচালনা করছেন, সেই সাথে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন প্রাইভেট চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কেকা ফেরদৌসীর রান্না বিষয়ে বিভিন্ন লেখা নিয়মিত প্ৰকাশিত হচ্ছে। তিনি দেশে ও বিদেশে ভ্ৰমণ করতে পছন্দ করেন এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রান্না শেখার চেষ্টা করেন।