"ফটোশপ স্পেশাল ইফেক্টস (সিডি সহ)" বইটির এই বই কাদের জন্য অংশের লেখাঃ এক বাক্যে বললে, প্রিন্টিং এবং ভিজুয়্যাল সেক্টরে কাজ করছেন এবং স্পেশাল ইফেক্টস তৈরিতে আগ্রহী এমন যে কারাে জন্য বইটি অত্যাবশ্যকীয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স করানাে হয় এমন কোন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে নেই; নেই পাঠ্যক্রমও। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই বিষয়গুলাের উপরই তিন থেকে চার বছরের মেয়াদের কোর্স করানাে হয়। ফলাফলও সেরকম। তবে আশার কথা হলাে, এ অবস্থা কিছুটা হলেও বদলাতে শুরু করেছে সাম্প্রতিক কালে। কেননা, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে গিয়ে অনেকেই অনুধাবন করছেন যে, তারা ফটোশপে যে বেসিক বিষয়গুলাে শিখেছেন তার প্র্যাক্টিক্যাল প্রয়ােগও শেখা দরকার। কেননা, বিষয়টি পুরােপুরিই হাতে কলমের। আর মূলত তাদের জন্যই এ বইটি। বইটির আয়ােজন, ভাষার বিন্যাস, পদক্ষেপসমূহরে বর্ণনা, টেকনিক্যাল বিষয়সমূহের উপস্থাপন এমনভাবে করা হয়েছে যেন যে কেউ এ বইটি ব্যবহার করে ইফেক্টগুলাে নিজে নিজেই তৈরি করা শিখতে পারেন। সেই সাথে ব্যবহৃত ফটোশপের ফাংশনগুলাের কাজ ও প্রয়ােগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেতে পারেন। আপনি একেবারে নতুনই হােন অথবা দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হােন না কেন, আপনি সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে এ বইটি গ্রহন করতে পারেন। তাছাড়া যারা ভিজুয়্যাল মিডিয়াতে ক্রিয়েটিভ পেশায় নিয়ােজিত আছেন তারাও এ বইটি গ্রহণ করতে পারেন নির্দ্বিধায় - নিশ্চয়তা দিচ্ছি বইটির সহজবােধ্যতার বিষয়ে।
মারুফ আহমেদ-১৯৮৮ সাল থেকে যার কম্পিউটার ক্যারিয়ারের শুরু। হাতেখড়ি ১৯৮৭ তে। কাজ করেছেন। কম্পিউটারের প্রায় প্রতিটি বিভাগে । তার ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে। এরপর গ্রাফিক্স ডিজাইন তথা ডিটিপি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন দীর্ঘদিন । একই সময়ে শুরু করেন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। কাজ করেছেন জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে - দ্বায়িত্ব পালন করেছেন চিফ আইটি কো-অরডিনেটর হিসেবে জিআইএস প্রতিষ্ঠান “দ্যা ম্যাপ্পা”-তে। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তার নিজস্ব কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান “ইন্ট্যালেক্ট কম্পিউটার” । ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি দু’হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে। ফ্রিল্যান্স প্রােগ্রামার হিসেবেও কাজ করেন পরবর্তীতে উন্নয়ন করেন ১৩ টি প্রতিষ্ঠানের জন্য অটোমেটেড সফটওয়্যার। সর্বশেষ তিনি দেশের তথ্যপ্রযুক্তির শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘সিসটেক ডিজিটাল'-এর প্রধান নির্বাহী পরবর্তীতে চিফ সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে তিনি প্রকাশ করেনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিষয়ক দেশের প্রথম ও একমাত্র অনলাইন দৈনিক “আইসিটি বাংলাদেশ”। এ পর্যন্ত তার উন্নয়নকৃত সফ্টওয়্যার ও মাল্টিমিডিয়া প্রকাশনার সংখ্যা শতাধিক এবং প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৫টি। উল্লেখ্য তিনি মাল্টিমিডিয়া অ্যাসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব)'র অন্যতম সংগঠক।