ভূমিকা নব্বই-এর দশকে আমাদের দেশে সেলুলার কমিউনিকেশনের যাত্রা শুরু হলেও দেশের চারটি অপারেটরের সেলফোন সেবা আর সাফল্যে এই প্রযুক্তি অল্প সময়ে মানুষের হাতের নাগালে চলে আসে। তারপরেও উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশের ক্রেতারা যেমন তাদের অধিকার সচেতন নয় তেমনি কোম্পানিগুলোও তাদের ক্রেতার সার্ভিস ও সন্তুষ্টির ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এদেশের জনগণ যুগযুগ ধরে সেবার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে শোষিত হয়েছে। যদিও এই সেক্টরে প্রতিযোগী কম অর্থাৎ অপারেটরের সংখ্যা কম। যদি বেশি প্রতিযোগী থাকতো তাহলেই জনগণ সত্যিকারের সেবা অর্থাৎ “সার্থক সেলফোন” সেবার স্বাদটা পেতো। যদিও এদেশের গুটিকয় অপারেটর তাদের নেটওয়ার্ক কভারেজ গ্রাম-গঞ্জ, মফস্বল এমনকি দুর্গম এলাকায় নিয়ে গেছে। যেখানে কম্পিউটার নেই সেখানেও ই-মেইল পাওয়ার এবং পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। তারপরেও সারাদেশব্যাপী অসংখ্য মোবাইল গ্রাহকদের অযথা হয়রানি, গ্রাহক সম্পর্ক কেন্দ্রের অপর্যাপ্ততা, ইনফো ও সার্ভিস সেক্টরের স্বল্পতা, কাষ্টমার রিলেশান সেন্টারে টোকেন নিয়ে মূল্যবান সময়ে অপেক্ষার পর অপেক্ষা, কাষ্টমার সার্ভিসের প্রদত্ত নাম্বারসমূহ অধিকাংশ সময়েই ব্যস্ত ও অকার্যকর থাকা, প্রচুর অর্থ খরচ করে দেরিতে হলেও কল সেন্টারের আগমন, তাছাড়া গ্রাহকদের নতুন সংযোগ ও ক্রয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে ভোগা তার সাথে হ্যান্ডসেট জনিত বিভিন্ন সমস্যা আর অসুবিধার কথা চিন্তা করেই মূলত বইটি লেখা। অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য যন্ত্রপাতির মতোই মোবাইল ফোন সবার মাঝে বিচরণ করছে, তাই এর সঠিক ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ আলোচনা করতে গিয়ে এই প্রযুক্তির সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলে এসেছে যা যতটা সম্ভব সহজ সাবলীল ভাষায় চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটির মাধ্যমে সকলেই উপকৃত হবে বলে আশা করি। আর প্রথম প্রকাশ হেতু অনেক ত্রুটি থেকে যেতে পারে মনের অগোচরে। প্রকাশনটির উৎকর্ষ সাধনে অভিজ্ঞ পাঠকবৃন্দের যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণীয়। প্রযুক্তির উন্নয়নে ভরে উঠুক আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন এই কামনায়-