ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা রহস্য, রোমাঞ্চ আর ভৌতিক গল্প পড়তে পড়তে লিখতেও শুরু করি একদিন। লেখালেখির বয়স একযুগেরও বেশি।প্রথম বই অলৌকিক প্রহর বের করি ২০০৫-তে। হররপত্রিকা নামে কেমলমাত্র হরর বিষয়ক ছোটকাগজও সম্পাদনা/প্রকাশনা করেছিলাম মাত্র একটি সংখ্যা, ২০০৯-তে। প্রিন্ট মিডিয়ার ভবিষ্যৎ দেখলে হররপত্রিকা নিয়ে উদয় হব নিয়মিত। এর আগে ফটোকপি করে বের করেছিলাম নীড়, অভিযাত্রিক, কাব্যছায়া নামের ছোটকাগজ।মাথায় কেবল রহস্য, রহস্য এবং কেবলই রহস্যময়, রোমাঞ্চকর সবকিছুর প্রতিই একরকম মায়া টানে। দু’য়েকটা শর্টফিল্ম, ডকুমেন্টারি বানিয়ে হাতেঘড়ি হয় ফিল্মমেকিংয়ে!ভাবছি ছোট ছোট হরর শর্টফিল্ম করে আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করব ভিন্ন ভিন্ন দেশে। মাঝে মধ্যে লিখব, বই বেরুবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র করব, শিখতে এবং শেখাতে।রহস্য সাহিত্য পরষ্কার আমার জীবনের একটি বড় প্রকল্প। হঠাৎ করেই কোনো লেখকের কাছে নগদ অর্থসহ পৌঁছে যেতে পারে এই প্রকল্পের সার্টিফিকেট, এমনই রহস্যময় হবে এর কাজ!ব্যক্তিগত জীবনে আমি দারুণ সাদামাটা, পৃথিবীর প্রতি শুদ্ধ জাতি আর তাদের মাতৃভাষার প্রতি আমার রয়েছে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা। ধর্ম আমাকে যুক্তিশালী করেছে, তাই পৃথিবীর সকল ধর্ম আমার কাছে একধরনের গবেষণা। আর ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে আমার নিজেকে আবিষ্কার করার সবচে বড় মাধ্যম। বাংলাদেশের বর্তমান চিত্রপট হচ্ছে আমার দেখা সবচে বড় ভৌতিক চলচ্চিত্র আর এর নিকট ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা অনুমান করাটাই হচ্ছে আমার জীবনের সবচে ভয়কর ভৌতিক গল্প!