"অন্ধ আততায়ী" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ‘যুদ্ধ শেষ হবার দশদিন পর আমার বােন লরা গাড়িসহ একটা সেতুর ওপর থেকে উল্টে পড়ে গেল। এভাবেই শুরু হয়েছে মার্গারেট অ্যাটউডের হতবুদ্ধিকর উপন্যাস দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন (অন্ধ আততায়ী)। লরা চেজের বড় বােন আইরিস, আঠার বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে বিখ্যাত শিল্পপতির সঙ্গে, এখন তার বয়স বিরাশি বছর এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সমৃদ্ধ পরিবারের প্রভাবাধীন পাের্ট টিকোনডেরােগা শহরে বাস করছে ও। আপন অবিশ্বস্ত শরীরের সঙ্গে তাল মেলানাের অবসরে আইরিস ফিরে তাকায় ওর উদাহরণের অতীত কৈশাের-যৌবন, বিশেষ করে বােনের করুণ মৃত্যুকে ঘিরে রাখা ঘটনা প্রবাহের দিকে। এসবের প্রধানতমটি হচ্ছে দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন (অন্ধ আততায়ী) উপন্যাসের প্রকাশনা, যা মৃত লরাকে কেবল কুখ্যাতিই এনে দেয়নি, জুটিয়েছে ভক্তকূলও। যেমন বলছে আইরিস: ও স্বয়ং বাস করছে লরার দীর্ঘ ছায়ার নীচে। সময়ের বিচারে অশ্লীলতার অভিযােগে অভিযুক্ত দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন (অন্ধ আততায়ী) উন্মাতাল তিরিশ দশকে এক তরুণী আর পলাতক এক তরুণের ঝুঁকিপূর্ণ প্রণয় কাহিনী তুলে ধরেছে। ভাড়া করা বিভিন্ন রুমে গােপন অভিসারের সময় যিক্রন গ্রহের পটভূমিতে পাল্প ফ্যান্টাসি রচনা করে ওরা। কল্পিত কাহিনী যখন ভালবাসা, উৎসর্গ আর বিশ্বাসঘাতকতার ভেতর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, বাস্তবেও ঘটতে থাকে তাই; দুটো গল্পেই ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে যায় বৈরিতা আর ধ্বংসের দিকে। পালাক্রমে কাব্যময়, অবিশ্বাস্য, ভয়ঙ্কর, অপ্রতিরােধ্য, কৌতুকময় এই উপন্যাস গভীর রসবােধ আর করুণ নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ।
অনুবাদক শওকত হােসেন-এর আদি নিবাস চট্টগ্রাম জেলার পরাগলপুর গ্রামে। বাবার বিচার বিভাগীয় চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে কেটেছে বাল্য ও কৈশাের। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বই প্রেমী মায়ের কল্যাণে। ১৯৮৫ সালে রানওয়ে জিরাে-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু শওঁকত হােসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত।