ফ্ল্যাপে লিখা কথা “আমার বা্বা মারা যায় আজ থেকে এগার বছর আগে, আমার বয়স তখন সবে চার বছর । কখনো ভাবিনি তার কন্ঠস্বর আবার শুনতে পাব। আজ দু’জনে একসাথে বসে একটা বই লিখছি ‘ গীয়র্গ রোয়েদের কাছে তার বাবা একটা ছায়ামূর্তির চাইতে বেশি কিছু নয়। একটা দূরাগত স্মৃতি। হঠাৎ করেই তার দাদীমা একটা পুরনো পুশচেয়ারের গদীর মধ্যে লূকিয়ে রাখা কিছু কাগজ আবিষ্কার করে। কাগজগুলো আসলে গীয়র্গকে লেখা তার বাবার চিঠি, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে লেখা। এতে রয়েছে এক কাহিনী, কমলা সুন্দীর কাহিনী। তবে কমলা সুন্দরী কোনো সাধারণ কাহিনী নয়- অতীত থেকে উঠে আসা এক রহস্য -তার বাবার যৌবন কাল ঘিরে গড়ে উঠা। কোনো একদিন তার বাবা ট্রামে উঠে পড়ে। দুপাশের সিটের মাঝখানে খালি জায়গাটাতে ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা অসাধারণ সুন্দরী এক যুবতী তার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। মেয়েটির দুহাত আঁকড়ে ধরা রসালো কমলা বোঝাই বিশাল এক কাগজের ব্যাগ। হঠাৎ দারুন এক ঝাকুনি লেগে কমলার ব্যাগ হাত থেকে খসে পড়ে কমলাগুলি ট্রামের মধ্যে গড়াগড়ি যায়। যুবক বীরত্ব দেখিয়ে ব্যাগ সামলাতে গিয়ে নিজেই অপরাধবোধে ভোগে। সেদিন থেকে যুবকের নেশা জাগে এই রহস্যময়ী কমলা সু্ন্দরীকে খুঁজে বের করা। আর এখন কবরে শুয়ে সেদিনের সেই যুবক তার পুত্রকে অনুরোধ করেছে সেই রহস্যের কিনারা করার।