ফ্ল্যাপে লিখা কথা হযরত শাহ জালাল (র.) হজরত শাহ পরাণ (র.), হজরত শাহ মোস্তফা (র.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট। শ্রীচৈতন্য ও তাঁর পার্যদদের তীর্থভূমি সিলেট। এই সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছেন হিউয়েন সাঙ ও ইবনে বতুতা নামের বিশ্ববিখ্যাত পরিব্রাজকরা । এখানে বেড়াতে এসেছেন বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহ্। মোগল সম্রাট কিংবা ইরানের শাহানশাহ-কেও আকর্ষণ করেছে সিলেটের নান্দনিক পরিবেশ। শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর মতো পণ্ডিত,নিধিপতির মতো খ্যাতনামা ব্রাহ্মম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো কবি, সুবাস বোসের মতো দেশপ্রেমিকদের আগমন ঘটেছে এই সিলেটে। সেই সিলেটেরই একজন সুসন্তান মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী (জন্ম ১৯৬৯ খ্রি.) পরিব্রাজক হিসেবে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর পথে পথে। চীনের প্রাচীর থেকে আগ্রার তাজমহল কিম্বা মিশরের পিরামিড কোনোটাই বাদ পড়েনি তার ভ্রমণ ডায়েরি থেকে।
একজন ইতিহাস সচেতন মানুষ হিসেবে ইতিহাসের সন্ধানে নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী প্রমাণ করেছেন, পৃথিবীতে জানার শেষ নেই। তার এই কষ্টার্জিত অভিজ্ঞতাকে সুনিপুনভাবে তুলে ধরেছেন তার সাম্প্রতিকতম বই ‘মিশরের পথে পথে’ । এখানে মিশরের পিরামিড খাফরে ও খুফু সম্পর্কে অনেক দুর্লভ তথ্যের সমাহার ঘটিয়েছেন লেখক। তার স্বল্পসময়ের ভ্রমণ কাহিনিতে কারূণের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে যেমন পাঠকগণ কৌতূহলী হবেন তেমনি আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত ছিটাডেল খাতেবীর ছবি দেখে পুলকিত বোধ করবেন। কায়রোর ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ফেরাউন ও তাঁর বংশের ২৭ জন রাজার মমির কথা জানা যাবে। তুতেনখামেনের স্বর্ণের মুকুট ও স্বর্ণের কফিনের দুর্লভ চিত্রের ক্যানভাসও এ গ্রন্থ। ‘মিশরের পথে পথে’ গ্রন্থটি ছোট পরিসরের হলেও এটি তথ্যের মণিমুক্তা সরবরাহে ছোট নয়।
ছয়টি গ্রন্থের গ্রন্থকার মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী বহুমুখী প্রতিভার একজন সতত সাধক। ইতিহাস -গবেষণা, গান লেখা, সাংবাদিকতা সবখানেই তিনি সমভাবে সমুজ্জল। তিনি গুণিজনকে মূল্যায়নের যেমন একনিষ্ঠ, তেমনি বিশিষ্টজনাও তার প্রতি আকৃষ্ট। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সুন্দরমনের এই মানুষটি আরো সুন্দর সুন্দর গ্রন্থ পাঠকদেরকে উপহার দেবেন-এই কামনা। রব্বানী চৌধুরী
সূচি প্রথম দিন দ্বিতীয় দিন * পিরামিড * গির্জার বিখ্যাত পিরামিড * পিরামিড খাফরে * পিরামিডের কথা * স্ফিংস * প্রাচীন মিশরের চিত্রলিপি ও ভাষার কিছু কথা