"দ্য ভার্জিন অভ দ্য সান" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: বাস্তুহারা হয়ে লণ্ডনে এসে কপালগুণে ধনী ব্যবসায়ী হয়ে গেল হুবার্ট অভ হেস্টিংস, কিন্তু অভিজাত বংশের সুন্দরী অথচ রহস্যময়ী ব্ল্যাশকে ভালােবেসে সব হারাতে হলাে। পালিয়ে চলে গেল সে। তাভানতিনসুয়ু-তে (পেরু), হয়ে গেল “সমুদ্র-দেবতা”। পরিচয় হলাে কুইলার সঙ্গে, প্রেম আবার এল জীবনে, কিন্তু বিদ্রোহের আগুন আলাদা করে দিল দু’জনকে। বাধল চ্যানকা-য়ুঙ্কা বনাম ক্যাছুয়া যুদ্ধ, ঝলসে উঠল হুবাটের তরবারি “শিখা-তরঙ্গ”, ক্যাছুয়াদের সিংহাসনে বসার সুযােগ পেল কারি। একদিন এই লােকের জীবন বাঁচিয়েছিল হুবার্ট, কিন্তু আজ রাজা হয়ে সেই কারিই বলছে দরকার হলে কুইলাকে পুড়িয়ে মারবে তারপরও কোনােদিন তুলে দেবেনা হুবাটের হাতে। পাতা হলাে নিচ্ছিদ্র ফাদ, অপহৃত হলাে মেয়েটা, ওকে বাচাতে মরিয়া হয়ে উঠল হুবার্ট। কিন্তু শেষ রক্ষা বােধহয় হলাে না, মৃত্যু-উপত্যকায় সদলবলে হাজির হলাে প্রতিশােধপরায়ণ কারি। সুতরাং আরও একবার শিখা-তরঙ্গ হাতে নিতে হলাে হুবার্টকে। ...হ্যাগার্ডের আরেকটি চমকপ্রদ উপন্যাস। নিয়তির কাছে মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের আরেকটি অনন্যসাধারণ কাহিনি।
ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী লেখা শুরু করার পর যিনি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর গল্পের স্রষ্টা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি হলেন স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। কম বয়সে চাকরিসূত্রে তিনি আফ্রিকা চলে যান এবং সে অঞ্চলের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান, যার ফলে আফ্রিকা মহাদেশের নানা জানা-অজানা বিষয় সম্পর্কে তিনি প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেন এবং এই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে ব্যবহার করেন তার রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ও গল্পসমূহ রচনায়। দশ ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৬ সালের ২২ জুন, ইংল্যান্ডের নরফোকে। খুব অল্প বয়সেই কর্মজীবন শুরু হয়ে যায় পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে। মাত্র উনিশ বছর বয়সেই তাঁকে চাকরিসূত্রে পাড়ি জমাতে হয় আফ্রিকায়। সেখান থেকে ৬ বছর পর ফিরে এসে তিনি আইনশাস্ত্রে পড়াশোনা শুরুর পাশাপাশি সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন এবং তাঁর জাদুকরী লেখনীর মাধ্যমে সৃষ্টি হতে থাকে 'সলোমন'স মাইনস্', 'শী', 'অ্যালান কোয়াটারমেইন' এর মতো অমর সকল দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর কাহিনীর। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর বই সমূহ যুগে যুগে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পাঠকদের দিয়ে গিয়েছে নানা বিচিত্র কল্পকাহিনীর এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যার মূলে রয়েছে 'আমস্লোপোগাস', 'রিলিজিয়ন', 'অ্যালান কোয়াটারমেইন', 'শী' ইত্যাদি বিখ্যাত সিরিজ। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'ক্লিওপেট্রা', 'মন্টেজুমা'স ডটার', 'লিসবেথ', 'কুইন অফ দ্য ডন', 'ভার্জিন অফ দ্য সান', 'দ্য ঘোস্ট কিংস', 'মেরি', 'দ্য ট্রেজার অফ দ্য লেক', 'রেড ইভ' ইত্যাদিও উল্লেখযোগ্য। তাঁর বেশ কিছু বই বাংলাদেশি পাঠকদের সুবিধার জন্য অনূদিত হয়েছে বাংলা ভাষায়। বাংলা ভাষায় অনূদিত হেনরি রাইডার হ্যগার্ড এর অনুবাদ বই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'শী', 'রিটার্ন অফ শী', 'দ্য ইয়েলো গড', 'দ্য ঘোস্ট কিংস', 'কিং সলোমন'স মাইনস', 'মন্টেজুমা'স ডটার', 'অ্যালান অ্যান্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার', 'মার্গারেট', 'দ্য পিপল অফ দ্য মিস্ট' ইত্যাদি। এই খ্যাতিমান কাহিনীকার ১৯২৫ সালের ১৪ মে ৬৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। এর পূর্বে তিনি ১৯১২ সালে ইংরেজ রাজপরিবারের পক্ষ থেকে 'নাইটহুড' উপাধি লাভ করেন।