"বিশ্ব নবীর (সা:) মেরাজ শরীফ ও বৈজ্ঞানিক তত্ব সহ" বইটির সংকলকের কথা থেকে নেয়াঃ الحمد لله رب العالمين. اللوة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين. وعلى اله واصحابه أجمعين. সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য, যিনি মানুষকে শুধু তাঁরই ইবাদত বন্দেগী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। সর্বশ্রেষ্ট ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মােস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম, যার উসিলায় আমরা আমলের ইলিম পেয়েছি এবং যা দ্বারা পরকালে মুক্তি পেতে পারি। ইসলামের মহান আদর্শ আমাদের সম্মুখে থাকা সত্বেও আমরা অনেক কাজে ইসলাম বিরােধী লােকদেরকে অনুকরণ করতে শিখেছি। বিশেষ করে যারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন তাদের অনেকেই ইসলামের রীতি নীতি হতে দূরে সরে পরতেছেন। এ ছাড়া যারা ইসলামের পথে আছেন তারা বাজারের বিভিন্ন রকম ভুল তথ্য যুক্ত বই পুস্তক পড়ে বিপদগামী হচ্ছেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি বিভিন্ন সহীহ কিতাব বিভিন্ন অংশ থেকে এ গ্রন্থটি সংকলন করেছি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল ছিলেন, আল্লাহ্ তাআলার বাণীবাহক ছিলেন; কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে তিনি ছিলেন একজন মানুষ, আদর্শ মানুষ। সাধারণ মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য এমন কোন অসম্ভব, অস্বাভাবিক আদেশ-নির্দেশও তিনি দেননি। যে বাণী ও যে সত্য তিনি প্রচার করেছেন, নিজের জীবনে তিনি তা পালন করেছেন। পবিত্র কোরআনে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তিনি নিজে যা উপদেশ দিয়েছেন, সবই তিনি নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করেছেন। অনেক মহা পুরুষের সাথে এখানেই তার পার্থক্য। তার স্বভাব-চরিত্র ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সম্বন্ধে ধারণা করার জন্য কোন প্রকার কল্পনার আশ্রয় নেয়ার প্রয়ােজন নেই। তার পুরাে জীবনটাই ছিল উন্মুক্ত আর তাঁর সাহাবাগণই তা পুংখানুপুংখরূপে বর্ণনা করে গেছেন। মহানবী (সা.) নিজেই বলেছেন, “আমি তােমাদের মতই মানুষ। আমার নিকট শুধু আল্লাহর বাণী অবতীর্ণ হয়।” বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এতীম ছিলেন। ছিলেন অনেকটা অসহায়। তবু জীবনে কোন দিন কারাে কাছে তিনি হাত পাতেননি। তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের মত জীবিকার জন্য তিনি মেষ চরিয়েছেন, দূর দেশে গিয়ে বাণিজ্য করেছেন। মানুষ কেন ছােট হবে। কেন অবমাননা করবে নিজের মনুষ্যত্বের, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবন, তার শিক্ষা ও নির্দেশগুলাে অনুধাবন করলেই বুঝা যাবে, মানুষ যাতে ছােট না হয়, তার মনুষ্যত্ব যাতে লাঞ্ছিত না হয় এবং মানুষ যাতে সর্বতােভাবে আত্মমর্যাদার জীবন-যাপন করতে পারে, সে আদর্শই। বিশ্বনবী (স.) মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। জীবন ও জীবনের সমস্যা বুঝতে হলে মানুষ ও সমাজকে জানতে হলে, সর্বোপরি পরকালের মুক্তির পথ সুগম করতে হলে আমাদেরকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর অমূল্য জীবন চরিতকে চলার পথে আলােকবর্তিকা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান বিশৃংখলময় বিশ্বে এছাড়া ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির বিকল্প কোন পথ নেই। এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “বিশ্বনবী (সাঃ) এর জীবনী ও মেরাজের বৈজ্ঞানিক তত্বসহ” তৎসহ তাত্ত্বিক আলােচনা ও শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ পাঠক সমাজের খেদমতে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
Title
বিশ্ব নবীর (সা:) মেরাজ শরীফ ও বৈজ্ঞানিক তত্ব সহ (বড় সাইজ)