ফ্ল্যাপে লিখা কথা ষাটের দশকে ব্যতিক্রমী চিত্র পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক হঠাৎ করে ভাবলেন, প্রকৃত সায়েন্স ফিকশন চাই। সর্বব্যাপী ,সর্বদৃষ্টির এক সায়েন্স ফিকশন বানাতে চাইলেন যাতে বিজ্ঞান আসবে পুরোপুরি যুক্তির কাঁধে ভর করে। স্নায়ুক্ষয়ী কাহিনী আসবে বিজ্ঞানের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে। স্যাটেলাইটের জনক, মহকাশ অভিযানের ধারাভাষ্যকার কল্পকাহিনী আর্থার সি ক্লার্ক তাঁকে যে কাহিনী দি;লেন তা দিয়ে সৃষ্টির হল ‘ ২০১০ : আ স্পেস ওডিসি’।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র। কিন্তু ক্লার্কের মনে হল, কাহিনী পূর্ণ হয়নি । তিনি একই নামে আরো পরিষ্কার করে গুছিয়ে লিখলেন এই উপন্যাস। ঊনিশশ আটষট্রিতে। মহাকাশ অভিযান নিয়ে সারা পৃথিবীর সব সায়েন্স ফিকশনের আদর্শ।
সূচিক্রম প্রথম পর্ব প্রাচীন রাত্রি * ধ্বংসের পথ * নব্য প্রস্তর * শিক্ষালয় * চিতা * ভোরের প্রথম মোকাবিলা * মানুষের অরুণোদয়
দ্বিতীয় পর্ব টি এম এ-১ * স্পেশাল ফ্লাইট * কক্ষপথে দেখা * চান্দ্র যান * ক্ল্যাভিয়াস বেস * বিশৃঙ্খলা * ধরণী-জোছনায় যাত্রা * ধীর সূর্যোদয় * শুনেছে যারা
Maksudujjaman Khan লেখালেখি শুরু করেন মৌলিক কাজ দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কয়েকটা উপন্যাস লিখেছেন, লিখছেন।এছাড়াও ছোটগল্পের ঘরানায় আছে পদচারণা; আছে জীবনের উৎস বিষয়ক গ্ৰন্থ জীবন এলো কোথা থেকে, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর ভুবনটাকে এক মলাটে নিয়ে আসার চেষ্টায় বড় লেখা, সায়েন্স ফিকশনঃ এক অসাধারণ জগৎ। বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো সায়েন্স ফিকশন অনুবাদের পর লেখার গণ্ডীতে থ্রিলার, ওয়েস্টার্ন, হরর ও এ্যাডভেঞ্চার যুক্ত হয়েছে। অনুবাদ-মৌলিক দু ক্ষেত্রেই নতুন ও সহজ বানানরীতি অনুসরণ করেন। তার করা অনুবাদে কিছু বাদ পড়ে না, কিন্তু বাক্যরীতি পরিবর্তিত হয়ে যায়। অন্বেষা প্রকাশন থেকে ড্যান ব্রাউনের আরেক থ্রিলার ডিসিপশন পয়েন্ট, অলিভার স্ট্রেনঞ্জারের ওয়েস্টার্ন উপন্যাস আউটলড, ডি ওয়াটসনের ডি এন এ আবিষ্কারের কাহিনী দ্য ডাবল হেলিক্স অচিরেই আসছে। পড়ালেখা করছেন জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তিতে। অবসর কাটে লিখতে লিখতে, পড়তে পড়তে গান শুনে।