ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ডার্ক জেন্টলি একজন গোয়েন্দা। বলা ভালো, এক ধরনের গোয়েন্দা। মহান গোয়েন্দদের নিয়ে এক চিরায়ত, লম্বা ও সম্মনিত ধারা চলে আসছে বহু আগে থেকেই-ডার্ক জেন্টলিকে তাদের সাথে খাপ খাওয়ানো যাবে না। শার্লক হোমস হিসাব কষে বের করেছেন যে একবার যখন অসম্ভবকে সরিয়ে ফেলা যায় তখন যাই থাক না কেন, যত অবিশ্বাস্যই হোক না কেন, সেটাই সত্যি।এবং ডার্ক জেন্টলি আর যাই করতে আগ্রহী হোক না কেন, অসম্ভবকে সরিয়ে দিতে চায় না। ডার্ক জেন্টলি সিরিজের প্রথম বই ডার্ক জেন্টলিস হোলিস্টিক ডিটেক্টিভ এজেন্সিতে হারিয়ে যাওয়া বিড়ালের পিছনে সাধারণ পিছুধাওয়াই ডার্ক জেন্টলির সার কাজ। চিরায়ত লন্ডনের জীবন উঠে আসে এখানে।আসে সাধারণ সব কথকতা।স্বাভাবিক কিছু ব্যাপার।এগিয়ে যায় কাহিনী। এক সময় বেরিয়ে পড়ে পুরো মানবজাতির ইতিহাসের পিছনে লকিয়ে থাকা অকল্পনীয় রহস্যটা। এ রহস্যের পাট পরিণতির আগেই চুকে যেতে বসেছে। অন্যরকম শুরু দিয়ে অ্যাডামস নিয়ে যান আমাদের চিরাচরিত পৃথিবীতে। তার ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখালেও দেখান আটপৌরে এ ভুবনই। তারপর, হঠাৎ করে সাদামাটা কাহিনীটা হয়ে ওঠে ধারণার ভাঙাগড়ার খেলা। ডার্ক জেন্টলির অজানা রহস্যময় মন, রিচার্ড ম্যাকডাফের কম্পিউটারের জাদু ও আটকে যাওয়া সোফা, শতায়ু প্রফেসর ক্রনোটিস তথা রেজিয়াসের হাতসাফাই ও সবেশেষে প্রাণের সমান বয়েসি এক অস্তিত্বের কাহিনীতে পাঠককে স্বাগত।
Maksudujjaman Khan লেখালেখি শুরু করেন মৌলিক কাজ দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কয়েকটা উপন্যাস লিখেছেন, লিখছেন।এছাড়াও ছোটগল্পের ঘরানায় আছে পদচারণা; আছে জীবনের উৎস বিষয়ক গ্ৰন্থ জীবন এলো কোথা থেকে, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর ভুবনটাকে এক মলাটে নিয়ে আসার চেষ্টায় বড় লেখা, সায়েন্স ফিকশনঃ এক অসাধারণ জগৎ। বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো সায়েন্স ফিকশন অনুবাদের পর লেখার গণ্ডীতে থ্রিলার, ওয়েস্টার্ন, হরর ও এ্যাডভেঞ্চার যুক্ত হয়েছে। অনুবাদ-মৌলিক দু ক্ষেত্রেই নতুন ও সহজ বানানরীতি অনুসরণ করেন। তার করা অনুবাদে কিছু বাদ পড়ে না, কিন্তু বাক্যরীতি পরিবর্তিত হয়ে যায়। অন্বেষা প্রকাশন থেকে ড্যান ব্রাউনের আরেক থ্রিলার ডিসিপশন পয়েন্ট, অলিভার স্ট্রেনঞ্জারের ওয়েস্টার্ন উপন্যাস আউটলড, ডি ওয়াটসনের ডি এন এ আবিষ্কারের কাহিনী দ্য ডাবল হেলিক্স অচিরেই আসছে। পড়ালেখা করছেন জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তিতে। অবসর কাটে লিখতে লিখতে, পড়তে পড়তে গান শুনে।