‘মজার গণিত ও গণিত অলিম্পিয়াড (ভলিউম – ১)’ কিছু কথা শুরু হোক প্রস্তুতি পর্ব অলিম্পিয়াডের পরিসর ও প্রতিযোগিতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অলিম্পিয়াডে তাই সফল হতে হলে সারা বছরই গণিতের চর্চা অব্যাহত রাখা দরকার। এর পাশাপাশি এখন থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। কেমন প্রস্তুতি চাই গণিত অলিম্পিয়াডের কিন্তু সে রকম কোনো নির্ধারিত সিলেবাস নেই। তবে বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে কিছু বিষয়ের ধারণা লাভ করা যায়। যেমন প্রাথমিক ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের জন্য সংখ্যার ধারণা, অঙ্কের স্থানীয় ও স্বকীয় মান, সংখ্যাক্রম, মৌলিক সংখ্যা ইত্যাদির পাশাপাশি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত গাণিতিক বাক্য থেকে কাঙ্খিত ফলাফল বের করা, গড় ও সাজানোর যুক্তি বোঝার বিষয় স্থান পেয়েছে। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জ্যামিতি ও বীজগণিত। বীজগণিতের সাধারণ ধারণা থেকে এর সূত্রাবলির প্রয়োগ, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, সরল সমীকরণের সমাধান প্রভৃতি এর অন্তর্ভুক্ত। জ্যামিতিতে থাকে ত্রিভুজসংক্রান্ত নানা বিষয়, পিথাগোরাসের উপপাদ্যের প্রয়োগ ও বৃত্তের ধারণা। প্রাথমিক কিছু ধারার বিষয়ও থাকে নম্বর থিওরির কিছু প্রয়োগও দেখা গেছে সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে খোজা হয় আইএমওর জন্য সম্ভাব্য প্রতিযোগী। কাজেই সেখানে জ্যামিতির নানা বিষয়, বিশেষ করে চতুর্ভুজের ধারণা, ত্রিভুজের সর্বসমতা, বৃত্তের চতুর্ভুজের বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি স্থান পায়। সংখ্যাতত্ত্বের কিছু অগ্রগামী ধারণার ওপর দখল থাকলে অবশ্যই অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা সম্ভব। বিন্যাস-সমাবেশ ও অসমতা একটি বড় অংশ বটে। তবে সব ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে নিজ নিজ শ্রেণীর সিলেবাসের ওপর দখল থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের নিয়মাবলী ১. বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড সময়কাল ও প্রতিবছরের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াড বছর হিসাবে পরিগণিত হবে। এই সময় জুড়ে বাৎসরিক আয়োজনসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে কেবল প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দেশে গণিতকে জনপ্রিয় করার জন্য প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হচ্ছে। এই পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়।