বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা ময়মনসিংহের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জগতে সুপরিচিত আলােকময় নাহা বহুমাত্রিক কর্মে ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। অকাল প্রয়াত এই ব্যক্তি হিন্যে বিশিষ্ট আইনজীবী, সফল মুক্তিযােদ্ধা, নির্বাচিত জনসেবক, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক, ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা, রবীন্দ্র ও গণসংগীতশিল্পী এবং সংগঠক। ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন গরিব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর স্বৈরশাসনবিরােধী সমস্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বীরদর্পে অংশগ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধে। দেশদ্রোহীর অভিযােগে পাকিস্তানি শাসনামলে ও স্বাধীন বাংলাদেশে তাকে চারবার কারাবরণ করতে হয়। প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে বিনাবিচারে আটক থাকেন এবং প্রায় আট মাস থাকেন গৃহে অন্তরীণ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন পলাতক জীবন-যাপন করেন। সংগীত ও রাজনৈতিক জীবনের পাশাপশি লেখালেখিও করতেন। তাঁর লেখায় রয়েছে গভীর ধার, স্পষ্ট বক্তব্য আর কার্পণ্যহীন। স্বাধীন মত প্রকাশের দৃঢ়তা। আলোকময় নাহার এই জীবনী পাঠ করে জানা যাবে তার জীবনের নানা অনালােকিত দিক-যা এক প্রকৃত গবেষকের পরম নিষ্ঠাজাত শ্ৰমে উঠে এসেছে অনুপুঙ্খ বিবরণসমেত।
আমিনুর রহমান সুলতানের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৪, ময়মনসিংহ জেলার কাঁচামাটিয়ার কাদাজল বিধৌত ঈশ্বরগঞ্জের খৈরাটি গ্রামে। বাবা: নাট্যাভিনেতা আজিজুর রহমান (প্রয়াত) মা: খােদেজা খাতুন। পেশা: উপপরিচালক, বাংলা একাডেমি, ঢাকা। তাঁর প্রকাশিত শিশুতােষ গ্রন্থ: সিজন ও মাহির প্রভাত ফেরি (গল্প), সকালবেলার পাখি (গল্প), ছােটদের বঙ্গবন্ধু (জীবনী), সােমেন চন্দের ছেলেবেলা (জীবনী), বাড়ির নাম ৩২ নম্বর (প্রবন্ধ), ভাষা আন্দোলনের কিশাের ইতিহাস (প্রবন্ধ)। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: জলের সিঁড়িতে পা, পানসি যাবে না সাঁতার যাবে, সাধুর কর, লােকগল্পের কবিতা প্রভৃতি। গবেষণা ও প্রবন্ধগ্রন্থ: বাংলাদেশের কবিতা ও উপন্যাস: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শালিহর গণহত্যা। পুরস্কার ও সম্মাননা: ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাহিত্য পুরস্কার ২০১২, হাসান হাফিজুর রহমান সাময়িকী পুরস্কার ২০১১, কবিতা সংক্রান্তি সম্মাননা ২০০৭।