ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা অনেক সময়ই পুরুষতান্ত্রিক আচরণ করে মিডিয়া, ভীষণ পুরুষ হযে ওঠে।ধর্ম, মৌলবাদ, পুঁজিবাদ নারীকে যে পত্রিকায়ায় শৃঙ্খলিত করে, মিডিয়াও তার অংশ হয়ে ওঠে নিজের স্বার্থে, প্রয়োজনে।জব্বার হোসেন বিশ্বাস করেন সমতায়, সমানাধিকারে। তাই নারীকি যখন মিডিয়া বাণিজ্যিক শিকারে ও উপাচারে পরিণত করে তখন তিনি তার প্রতিবাদ করেন। তীব্র ভাষা ও বক্তব্যে।এখানে মিডিয়া কখনো কখনো মৌলবাদী, পুঁজিবাদী এবং প্রায় সব সময়ই পুরুষতান্ত্রিক। জব্বার পুরুষতন্ত্র বিরোধী, সমালোচনা করেন এই প্রক্রিয়ার, কাঠামোর।সতীর্থদের অনেকের কাছেই অগ্রিয়, আবার সমতায়, মানবতাবাদে, যুক্তিপ্রবণতায় বিশ্বাসী মানুষদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় জব্বার হোসেন।‘নারী বিরোধী মিডিয়া’, মিডিয়ার বিরুদ্ধে, পুরুষদের বিরুদ্ধে নয়, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।পরুষ মিডিয়া এবং মিডিয়ার পরুষদের, মিডিয়ার কেউ এমনভাবে মুখোশ উন্মোচন করলেন এই প্রথম। মুক্তচিন্তায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতায়, সমতায়, নারীবাদে বিশ্বাসী জব্বার হোসেন এই উন্মোচনকে দায়িত্ব মনে করেন। সূচিপত্র *‘বিশেষ’ উদ্দেশ্য মেয়েরা মলাটে! *টিভি চ্যানেল ও ভয়ষ্কর একটি অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা *ঈদের বাজার এবং ঈদ ফ্যাশন সংখ্যা *অরুন চৌধুরীর যৌন হয়রানি।মিডিয়া কেন খবরটি দেয়নি? *ক্ষমতা-অক্ষমতা! *যেভাবে পুরুষ মিডিয়ার টার্গেট পারসোনা *ইডেন : মিডিয়া যখন তোলপাড় *মিডিয়ার তসলিমা নাসরিন বিরোধিতা *সম্পাদকদের পুরুষতান্ত্রিকতার নকশা ও নমুনা *শাবানা এত জনপ্রিয় কেন? *মানুষ ছিল না কেউ, ‘পুরুষ’ ছিল সবাই *মেয়েরা আর কত খেলনা হবে, সস্তা খেলনা! *আক্তান্ত দৈনিক আমাদের সময় *মেয়েটি নিজেও প্রতারিত! *মৌলবাদ : কেউ কেন প্রতিবাদ করেনি? *শাহবাগের আড্ডা এবং জনপ্রিয় লেখকের নিমন্ত্রণ *কোনটি ভালো, ডিভোর্স নাকি হত্যাকাণ্ড? *নারীবাদ এবং কিছু পুরুষতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া *ছবির পোস্টার, বিলবোর্ড এবং নায়িকা শাবনুর *মিডিয়ার যৌন সাম্প্রদায়িকতা *প্রদর্শনী : ভাড়াটে সুন্দরীরা! *বিজ্ঞাপন, রিকমা পেইন্টিং ও ঈদের শপিং *রূপ : অন্ধকারের কূপ! *মেয়েদের রান্নাঘরে কে ঢোকাচ্ছে *একটি সেমিনারের অভিজ্ঞতা *সবদৃশ্যের একই চিত্র *কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ *মিডিয়া, হিজাব এবং সর্বনাশ! *মেয়েরাও ধর্ষণ করুক পুরুষদের *আমি আক্রমনের শিকার!
জব্বার হােসেন। সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি শাহাদত চৌধুরীর হাতে। ছেলেবেলা থেকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ আর নতুনকে জানার তীব্র বাসনা থেকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা ও ইংরেজি সাহিত্য অধ্যয়ন করে শেষ পর্যন্ত থিতু হলেন নাট্যতত্ত্বে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ মাস্টার্স এবং এমফিল করেছেন একই বিষয়ে। লেখালেখি তার স্বভাবজাত । লিখতে থাকেন প্রাণের টানে। ড. সেলিম আল দীনের পিতৃসুলভ স্নেহের আশ্রয়ে তার লেখালেখির বেড়ে ওঠা। সাপ্তাহিক ২০০০-এ দীর্ঘদিন সহকারী সম্পাদক ছিলেন। অল্পদিন আগে নতুন দিন গড়ার লক্ষ্যে বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সাপ্তাহিক প্রকাশনার সঙ্গে। জব্বার আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। গুণীজনের সঙ্গ পেতে চান। সঙ্গী হিসেবে তার জুড়ি পাওয়া ভার। তার কাছে অকপটে অনেকেই বলেন অন্তরের গভীরতম অনুভূতির কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অনেক খ্যাতিমান মানুষের। জব্বারের হাতে মাইক্রো ক্যাসেট রেকর্ডার বলে চলেছেন সামনের মানুষটি। রাত জেগে সেই কথা লিপিবদ্ধ হচ্ছে। এই দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক। কারণ জব্বার বিশ্বাস করেন তিনি ইতিহাসকে ধারণ করছেন তার কলমে। তিনি গঠিত হতে ভালােবাসেন। গঠনের অংশ হতে চান। কারণ তার মেন্টর’-এর। মতাে তিনি বিশ্বাস করেন শেষ পর্যন্ত শূন্যেই মিলাবে সবকিছু। জব্বার হােসেনের মতাে তরুণরাই তাই গঠন করছেন, পূর্ণ করে তুলছেন ভবিষ্যতের শূন্যতা। মুহম্মদ জাফর ইকবাল জব্বারকে বলেছেন তার নিজের গঠনের গল্প, তার স্বপ্নের কাহিনী। পাঠক এই বইয়ে জব্বারকে জানবেন না; জানবেন তার কলমে মুহম্মদ জাফর ইকবালের গড়ে ওঠার কষ্ট আর সাফল্যের আনন্দকে । জব্বারকে আপনারা আবিষ্কার করবেন আরও পরে। কারণ এখন তিনি কেবলই গঠিত হচ্ছেন।