ফেনী জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম আলাইয়ারপুরে এক সাধারণ গৃহস্থ পরিবারে ১৯৪৯ সালে আবদুল আউয়াল মিন্টুর জন্ম। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর ঢাকা, ফেনী ও কুমিল্লায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণ শেষে ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রামে জুলদিয়া মেরিন একাডেমি থেকে নৌবিদ্যায় ডিপ্লোমা লাভের পর তৎকালীন পাকিস্তান শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজে ডেক অফিসার হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে (৮ এপ্রিল) তিনি পাকিস্তানী জাহাজ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তান শিপিং কর্পোরেশনের চাকরিতে ইতি টানেন। শিক্ষানুরাগ, কর্মস্পৃহা ও অদম্য মনোবলের অধিকারী আবদুল আউয়াল মিন্টু ১৯৭৩ সালে একটি মার্কিন কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের মেরিটাইম কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে ট্রান্সপোর্টেশন সায়েন্স তথা ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজমেন্টে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে শিক্ষা তাঁর আজীবন চর্চার অন্যতম বিষয় থেকে যাওয়া ও প্রবল জ্ঞানস্পৃহার কারণে আমেরিকার মতো অগ্রসর জাশে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও বিত্ত-বৈভব পাওয়া সত্ত্বেও তিনি ১৯৮১ সালে দেশ গড়ার উদ্দীপ্ত প্রেরণায় স্বদেশে ফিরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা-বাণিজ্যে আত্মনিয়োগ করার পরও তিনি ২০১০-১২ সালে বিশ্বের অন্যতম লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় এর স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড অ্যাফ্রিকান স্টাডিস থেকে জীবনের এক পূর্ণতর বয়সে কৃষি বিষয়ক অর্থনীতিতে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। রেস্তরাঁ, ব্যাংক-বীমা, শিপিং, সিমেন্ট, বীজ, আধুনিক বিভিন্ন উৎপাদন শিল্প ও বিপণন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রভুত সাফল্য অর্জন করেন। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুত করার লক্ষ্যে বাজার অর্থনীতির অন্যতম প্রবক্তা ও ব্যবসার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের অধিকারী আবদুল আউয়াল মিন্টু এদেশের শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ও উন্নয়নে পরম নিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন। আর সেই সাথে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় জ্ঞানগর্ভ নিবন্ধ, সন্দর্ভ ও সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও তিনি অকুতোভয়। আবদুল আউয়াল মিন্টুর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: বাংলাদেশ: পরিবর্তনের রেখাচিত্র: Bangladesh: Anatomy of Change, শাকসজির চাষাবাদ। বাংলাদেশ: রাজীনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতি। তাহার রচিত Bangladesh: Anatomy of Change লন্ডনের বিখ্যাত প্রকাশনা Athena Press থেকেও প্রকাশিত হয়েছে ও আন্তর্জাতিক পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু ১৯৯৮-২০০০ এবং ২০০৩-২০০৫ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শ্রদ্বাবরেষূ জনাব আবদুল আউয়াল মিন্টু আপনার সন্তানকে পিতার কথামালা বইটি পড়লাম। অনেক বড়ো বই কিণ্তু অনেক চ্যাপ্টারে ভাগ করা তাই পড়তে মোটেই কস্ট হয়নি। আর এটা যেহেতু কোনো তাত্বিক আলোচনা নয় স্রেফ চিঠি। আপনি আপনার পুত্রদের বিভিন্ন পরামর্শ উপদেশ দিয়ে যেসব চিঠি লিখেছেন তাই এই বইয়ের বিষয়বস্থু। প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই বইটি আমাকে উপহার পাঠানোর জন্য্। বইটি পড়ার সময় আমি নিজে কখনো আপনার সন্তানের মতো হয়ে এর গভীরে পেীছে আন্তরিক পরামর্শের স্বাদ নিয়েছি। কখনো নিজেই পিতা হয়ে নিজের সন্তানের ভব্যিষতের চিন্তা করে তার জন্য সাফল্যের সোপান কিভাবে রচনা করবো সেই পরিকল্পনা করেছি। যে বিবেচনাতেই হোকনা কেন এর প্রতিটি অধ্যায় অসাধারণ তথ্য শিক্ষা উপদেশ এবং জীবনের প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর। আপনি নিজের শিক্ষা ও বিশ্বাসের সাথে মনীষীদের বাণী সেোযজন করেছেন। কোরআনের অনুবাদ , হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আব্রাহাম লিংকনের সেই চিঠিটি যিনি তার পুত্রের শিক্ষকের উদ্ধেশ্যে তিনি লিখেছেন সেটিও তুলে ধরেছেন। ফলে ওিই চিঠিগুলো আর কোনো মামুলি চিঠি থাকেনি হয়ে গেছে িএক একটা জ্ঞান ও তথ্যের ভান্ডার। যেকোনো মানুষের জন্য উপকারী। আপনি একজন ব্যবসায়ী আপনারা ছেলেরাও ব্যবসায়ী হবে এটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া যায়, সেই বিবেচনায় আপনি দেশ বিদেশের নানা ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা তথ্য তাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাতৃভূমি বাংলাদেশ নিয়ে লিখেছেন আপনার স্বপ্ন ও স্বম্ভাবনার কথা। এভাবে পুরো বইটি বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, ভুগোল, পর্যটন সব কিছুরই একটা ছোয়া দিয়ে সুন্দর সাজিয়ে তুলেছেন। আসলে আমাদের জীবনে এই প্রতিটি জিনিসের রয়েছে প্রয়োজন ও প্রভাব। আপনাকে ধন্যবাদ