ভূমিকা মহাকাব্য একটি জাতির অমূল্য সম্পদ। একজন কবি মহাকাব্য রচনা করতে গিয়ে যেমন একদিকে একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলেন তেমনি তুলে ধরেন আশা-আকাঙ্ক্ষা, জয়-পরাজয়, ব্যর্থতা আর উত্থানের কাহিনী। মহাকাব্যে একটি জাতির জীবনচিত্র যেমন থাকে তেমনি থাকে মানুষ। বিচিত্র বর্ণের মানুষ মহাকাব্যের একটি মূল বিষয়।পৃথিবীজুড় যত মহাকাব্য লেখা হয়েছে তার প্রায় সবগুলিতেই রচয়িতারা মানুষের আচরণকে প্রাধ্যান্য দিয়েছেন, প্রকাশ করেছেন মানবিক আচরণকে।
মহাকাব্য রচনার কাজটি যেমন দুরূহ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে যুগে যুগে বেশ কিছু অমর মহাকাব্য রচিত হয়েছে। এই কাব্যগুলি এক একটি জাতি এবং দীর্ঘ সময়কে ধারণ করে বিশ্বসাহিত্য অমর হয়ে আছে। আমরা এখানে বিশ্ববিখ্যাত ছয়টি মহাকাব্য কে নির্বাচন করেছি। উদ্দেশ্য ছিল সংক্ষেপে এই অমর কাহিনীগুলোর সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিচয় ঘটানো। ছটি মহাকাব্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এদের ব্যাপকতাম মানবিক উত্থান-পতনের কাহিনী আর ভৌগোলিক অবস্থান প্রাধাণ্য পেয়েছে। এই বইটি নব-প্রজন্মের পাঠকদের কতটা কাজে লাগবে সে বিচারের ভার তাদের হাতেই রইল।
বইটি ব্যাপারে কাজ করতে গিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের সহায়তা পেয়েছি। তবে এক্ষেত্রে সাহিত্যিক আহমাদ মাযহার ও শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলামের কথা উল্লেখ করতেই হবে। তাদের নিরন্তর তাগাদা আর সতর্ক সহায়তা না পেলে একাজ কখনোই শেষ হত না।
জন্ম মার্চ ২৫, ১৯৬৪। লেখালেখির শুরু আশির দশকের শুরুতে। লেখাপড়া শেষ করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন প্রায় তিরিশ বছর । এখন লেখালেখির সঙ্গেই জড়িত। প্রকাশিত গ্রন্থ : ফেলে আসা রুমাল (কাব্যগ্রন্থ), এইসব অন্ধকার (উপন্যাস), পুড়তে থাকো বিজ্ঞাপনের আগুনে (কাব্যগ্রন্থ), যেখান থেকে আকাশ দেখা যায় না। উপন্যাস). কয়েকটি মৃত জোনাকী (গল্পগ্রন্থ), বৃত্তের ভেতরে একা। (উপন্যাস), শীতে ভবঘুরে (কাব্যগ্রন্থ), অভ্যুত্থান (উপন্যাস), চৈত্রের দিন (উপন্যাস), মহাকালের ঘােড়া (উপন্যাস), চে গুয়েভেরার আফ্রিকার ডায়েরি (অনুবাদ)।