বইটির সূচিপত্র: প্রথম ভাগ ১. অনুবাদকের কথা ২. লেখক পরিচিতি ৩. ভূমিকা * বইটি লেখার কারণ * বইতে অনুসৃত পদ্ধতি * হাদীস অনুসরণের বিষয়ে ইমামদের মতামত ও তাদের | হাদীস বিরােধী বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ১. ইমাম আবু হানীফা (রঃ) ২. মালেক বিন আনাস (রঃ) ৩. ইমাম শাফেঈ (রঃ) ৪. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল * ইমামদের হাদীস বিরােধী বক্তব্যে ছাত্রদের ভূমিকা * একটি সন্দেহের জওয়াব ৪. রসূলুল্লা (সঃ)-এর নামায পদ্ধতি * কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ানাে * কেয়াম (দাঁড়ানাে)। * অসুস্থ লােকের বসে নামায পড়া * নৌকায় নামায। * রাত্রের নামাযে দাঁড়ানাে ও বসা * জুতা সহকারে নামায পড়া ও অনুরূপ করার আদেশ * মিম্বরের উপর নামায আদায় * সুতরাহ (আড়াল) ও এর অপরিহার্যতা * সুতরাহ না থাকলে যে জিনিস নামায ভঙ্গ করে * কবরের দিকে মুখ করে নামায পড়া * নিয়্যত * তাকবীর * দু’হাত তােলা (রফে ইয়াদাইন) * বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা * বুকে হাত রাখা * সাজদার স্থানের প্রতি ন্যর রাখা ও বিনয়ী হওয়া * নামায শুরুর দোআ * সূরা-কেরাআত পাঠ। * সূরা ফাতেহা নামাযের রােকন হওয়া এবং এর ফযীলত * ইমামের প্রকাশ্য কেরাআতে মুকতাদি কেরাআত পড়বে না। * ইমামের অপ্রকাশ্য কেরাআতে মুকতাদী কেরাআত পড়বে * আমীন বলা এবং ইমামের প্রকাশ্যে আমীন বলা। * সূরা ফাতেহার পর রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কেরাআত * একই রাকআতে একই ধরনের সূরা কিংবা ভিন্ন ধরনের সূরা পড়া * শুধু সূরা ফাতেহা পড়াও জায়েয। * প্রকাশ্যে ও গােপনে কেরাআত পড়া। * রাতের নামাযে কেরাআত প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে পড়া * রসূলুল্লাহ (সঃ) নামাযে যা পড়তেন ১. ফজরের নামায * ফজরের সুন্নতের কেরাআত ২. যােহরের নামায ৩. আসরের নামায ৪. মাগরিবের নামায ৫. এশার নামায ৬. রাতের নামায ৭. বিতরের নামায ৮. জুমআর নামায ৯. দু’ঈদের নামায ১০. জানাযার নামায * সুন্দর আওয়াজ ও তারতীল সহকারে কেরাআত পাঠ * ইমামের প্রতি লােকমা দেয়া ৩. ইবনে উমরের তাশাহহুদ ৪. আবু মূসা আশআরীর তাশাহ্হুদ ৫. উমার বিন খাত্তাবের তাশাহহুদ * রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর দুরূদ পাঠ, দুরূদের স্থান ও শব্দাবলী * তৃতীয় ও চতুর্থ রাকআতের কেয়াম * পাঁচ ওয়াক্ত নামযে দীর্ঘ দো'আ কুনূত বা কুনূতে নাজেলা। * বিতরের নামযে কুনূত * শেষ তাশাহ্হুদ। * রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর দুরূদ পাঠ করা ওয়াজিব * দোআর আগে ৪টি বিষয় থেকে আশ্রয় চাওয়া ওয়াজিব * সালামের আগে বিভিন্ন প্রকার দোআ * সালাম * সালাম ফিরানাে ওয়াজিব * নামাযে নারী-পুরুষের পদ্ধতিগত কোনাে পার্থক্য নেই। * সমাপ্তি * দুরূদ ৫.গ্রন্থপঞ্জী * মুখবন্ধ * রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নামাযের আলােকে প্রচলিত ৭৬টি ভুল সংশােধন * জুমু'আর নামাযের প্রচলিত ৭টি ভুল সংশােধন * অ্যু-গােসলের প্রচলিত ১৮টি ভুল সংশােধন * উপসংহার।
আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) আধুনিক যুগের একজন স্বনামধন্য আলেম। তাঁর জন্ম ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আলবেনিয়ায়। ১৯১৪ সালে আলবেনিয়ার রাজধানী স্কোডারে (বর্তমান নাম তিরানা) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আলবেনিয়ার একজন বিজ্ঞ আলেম। পারিবারিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও দ্বীনদারী ও জ্ঞানার্জনে তাঁরা ছিলেন সুখ্যাতিসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ। আলবেনিয়ায় নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ করার পর নাসিরুদ্দীন আলবানীর পরিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে চলে আসেন। দামেস্কে ‘স্কুল অব এইড চ্যারিটি’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাপর্ব শেষ হয়। এরপর প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে তাঁর পিতা তাকে স্বতন্ত্র পাঠ্যসূচী তৈরি করে দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই তিনি আল-কুরানুল কারীম, নাহূ, সরফ, তাজবীদ এবং হানাফী ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন ও একইসাথে কোরআনের হিফযও সমাপ্ত করেন। ইসলামী শাস্ত্রে সুপন্ডিত এই আলেম ঘড়ি মেরামতের কাজকে পেশা হিসেবে নেন। এর অন্যতম কারণ ছিল জ্ঞানার্জন ও গবেষণার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া। নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো সিরিয়ায় তাওহীদ ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াত এবং এর পরবর্তী ঘটনাদি। এই কারণে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে এবং তাকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাঁর এই মতবাদের সাথে দামেস্কের প্রসিদ্ধ আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করায় তিনি এগিয়ে যেতে উৎসাহ পান। শাইখ আলবানী দামেস্ক, মিশর ও সিরিয়ার বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাব পান। তবে গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি যোগ দেননি। তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমগ্র, গবেষণাপত্র ও বক্তব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের কাছে সমাদর লাভ করেছে। তিনি কুয়েত, আরব আমিরাত ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বক্তা হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। আল্লামা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) এর বই সমূহ হলো ‘আত-তারঘিব ওয়া আত-তারহিব (চার খণ্ড)’, ‘আত-তাসফিয়াহ ওয়া আত-তারবিয়াহ’,’সহীহ ওয়া যাই’ফ সুনান আত-তিরমিযী (চার খণ্ড)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা এক শতাধিক। হাদীস ও ফিকহ শাস্ত্রে পারদর্শী এই আলেম ১৯৯৯ সালে বাদশাহ ফয়সাল পুরষ্কারে ভূষিত হন। একই বছর জর্ডানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।