চলচ্চিত্রের নানা কথা মূলত একজন সৎ ও নিরলস চলচ্চিত্রকর্মীর মনন ও শিল্পবোধের ক্ষনিক চিত্র। সদ্যপ্রয়াত চিত্রসম্পাদক আলম কোরায়শী চলচ্চিত্র বিষয়ক তাঁর প্রিয় কিছু কথা তুলতে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন বইটির ছোট-বড় ১২টি রচনার মধ্যে দিয়ে। লেখাগুলো চলচ্চিত্রের ইতিহাস, চলচ্চিত্র সম্পাদনা, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সংক্রান্ত। বইটির সব লেখাই চলচ্চিত্রামোদী ও চলচ্চিত্র-শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে বলে আশা করা যায়। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের আবিষ্কার ও ক্রমবিকাশ’ ‘চলচ্চিত্র সম্পাদনা কী এবং কীভাবে হয়’ ‘সত্যজিৎ রায়ের শর্ট ফিল্ম টু ও তার চিত্রনাট্য’ চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয় হিসেবে অবশ্য তালিকাভুক্ত হতে পারে।
Alam Qureshi আলম কোরায়শীর (১৯৩৩-২০১১) একজন সৃজনশীল চিত্র-সম্পাদক ও চলচ্চিত্র-কর্মী। বাবা ইবনে আহমেদ কোরেশী মা মোছাঃ নূরুন্ননেসা। নয় ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ।১৯৬২ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চাকুরী ছেড়ে এফডিসিতে যোগদান। ১৯৬৮ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘চোরাবালী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সম্পাদক হন।। চলচ্চিত্রের সম্পাদকের কাজ চলাকালিনই এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা)-তে সহকারী সম্পাদকের চাকুরিরত হন। ১৯৭২ সালের ০১ ডিসেম্বর এডিটিং সেকশনের বুকিং অফিসার পদ পান। সর্বশেষ উৎপাদক বিভাগের সিডিউল প্রোগ্রামার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯১ সালে। অবসর গ্রহণের পর বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, ফিল্ম সোসাইটি, তারেক মাসুদের প্রডাকশন অফিস প্রভৃতিতে কাজ করেন। তিনি চলচ্চিত্র কর্মীদের নিয়ে গঠন করেন ‘সিনে আর্টিস্ট এন্ড টেকনিশিয়ান সোসাইটি (ঈঅঞঝ)। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে চিত্র পরিচালক আজিজ মেহেরকে সভাপতি করে গঠন করেন ‘ঢাকা ফিল্ম কাব’। এছাড়া বিকল্প ধারা, স্বপ্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র উৎসব প্রভৃতির সাথে জড়িত ছিলেন সক্রিয়ভাবে। লেখালেখি করেছেন বিচিত্র বিষয়ে। ছোটগল্প অনুবাদ সাহিত্য, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়, কবিতা প্রভৃতি তার লেখালেখির বিষয়। লোক কাহিনী, রূপকথা বিষয়েও তার আগ্রহ ছিল। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি আমবশ্যার আতঙ্ক (১৯৫৭) ও এ্যালান পো’র শ্রেষ্ঠ গল্প (২০১০)।
Alam Qureshi- (১৯৩৩-২০১১) একজন সৃজনশীল চিত্র-সম্পাদক ও চলচ্চিত্র-কর্মী। বাবা ইবনে আহমেদ কোরেশী মা মোছাঃ নূরুন্ননেসা। নয় ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ।১৯৬২ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চাকুরী ছেড়ে এফডিসিতে যোগদান। ১৯৬৮ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘চোরাবালী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সম্পাদক হন।। চলচ্চিত্রের সম্পাদকের কাজ চলাকালিনই এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা)-তে সহকারী সম্পাদকের চাকুরিরত হন। ১৯৭২ সালের ০১ ডিসেম্বর এডিটিং সেকশনের বুকিং অফিসার পদ পান। সর্বশেষ উৎপাদক বিভাগের সিডিউল প্রোগ্রামার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯১ সালে। অবসর গ্রহণের পর বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, ফিল্ম সোসাইটি, তারেক মাসুদের প্রডাকশন অফিস প্রভৃতিতে কাজ করেন। তিনি চলচ্চিত্র কর্মীদের নিয়ে গঠন করেন ‘সিনে আর্টিস্ট এন্ড টেকনিশিয়ান সোসাইটি (ঈঅঞঝ)। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে চিত্র পরিচালক আজিজ মেহেরকে সভাপতি করে গঠন করেন ‘ঢাকা ফিল্ম ক্লাব’। এছাড়া বিকল্প ধারা, স্বপ্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র উৎসব প্রভৃতির সাথে জড়িত ছিলেন সক্রিয়ভাবে। লেখালেখি করেছেন বিচিত্র বিষয়ে। ছোটগল্প অনুবাদ সাহিত্য, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়, কবিতা প্রভৃতি তার লেখালেখির বিষয়। লোক কাহিনী, রূপকথা বিষয়েও তার আগ্রহ ছিল। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ দুটি - আমবশ্যার আতঙ্ক (১৯৫৭) ও এ্যালান পো’র শ্রেষ্ঠ গল্প (২০১০)।