রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা : বড় মানুষ হতে হলে, বড় মন লাগে। শেখ মুজিবুর রহমান-এর সেই বড় মন ছিল। আর ছিল বলেই তাঁর আশ-পাশেই বেইমান, বিশ্বাসঘাতক-মীরজাফরেরা আস্তানা গড়ে তুলতে পেরেছিল; রাতের গোপন আঁধারে আপাতসংগঠিত শক্তির কাছে সপরিবারে নিহত হন এবং ন্যাক্কারজনকভাবে সেইসব কুচক্রী সেনা-সদস্য ও মাথা নত করানোর বহিরাগত শক্তির দ্বারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। আর এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার পিতৃতুল্য মহামানব বাংলার অবিসংবাদিত মহানায়ককে খুবই দুঃখজনকভাবে হারিয়েছিল। দেশপ্রেমিক জনগণ ঐসব ঘাতক-খুনিদের কখনোই ক্ষমা করতে পারে না, ক্ষমা করতে পারে না-তাদের স্বকৃত খুনি ঘোষণাকেও। বাঙালি জাতির আরেক কলঙ্কিত অধ্যায় ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি-যা বাতিলের মধ্য দিয়ে সেইসব আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় শত বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে দাঁড় করিয়েছে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে। আর এই ঐতিহাসিক রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি তার কলঙ্কজনক একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখতে পেয়েছে। এখন যতশীঘ্র সম্ভব বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা; যার মধ্য দিয়ে এই মর্মন্তুদ ঘটনার বিচারের আপাত পরিসমাপ্তি ঘটবে। তবু ক্ষত থেকে যাবে অনাদিকাল-প্রতিজন বাঙালি অন্তরেই।
কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যযাত্রা, গান-গল্প-প্রবন্ধ-ছড়া-চিত্রনাট্য-কলাম প্রভৃতি লিখে চলেছেন। আধুনিক বিশ্বে ভয়ঙ্কর দুটি শক্তি : রাজনীতিক ও যাজক, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে তুলে ধরেছেন কলম-সম্ভাবনা গদ্য-পদ্য, লিখছেন খোলামত ও মতাদর্শ।