ফ্ল্যাল্পে লিখা কথা একেবারে ঘরোয়া আটপৌরে ভাষার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা দিক এই বইয়ে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, এক কথায় যাকে বলা যায়, অতুলনীয়। একজন মানুষ যখন সাদারণ থেকে অসাধারণ থেকে অসাধারণ বা সবিশেষ হয়ে ওঠেন, হয়ে ওঠেন ইতিহাসের মহত্তম ব্যক্তিত্ব, তখন তাঁর ঘরোয়া জীবন আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। লেখক এবিএম মূসা তাঁর টগবগে যুবা বয়স থেকে শেখ মুজিবকে দেখেছেন। কালক্রমে তাঁর ‘মুজিব ভাই’য়ের নিবিড় সান্নিধ্যে এসেছেন। ফলে তাঁর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঘরোয় জীবনের এমন সব দিক এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে, যা এত দিন আমাদের জানান বাইরে ছিল। শুধু বঙ্গবন্ধু কেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সর্বাত্মক প্রেরণাদাত্রী সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং তাঁর তিন পুত্রের কথাও তিনি তুলে ধরেছেন, পাঠককে যা মন্ত্রমুদগ্ধ করে রাখবে। এ বই নিছক বঙ্গবন্ধুর ঘরোয়া জীবনের কথা নয়, হয়ে উঠেছে একটি নির্দিষ্ট কালপরিসরের আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনেরও অমূল্য দলিল।
সূচিপত্র ভূমিক : আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আামার কথা অন্তরঙ্গ আলোকে কিছু স্মৃতিঅহক রঙ্গরসে বঙ্গবন্ধু প্রেরণীদায়িনী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব স্মৃতিতে কামাল-জামাল-রাসেল মওলানা ও তাঁর মজিবর সাতই মার্চের যুদ্ধ ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা এবং একটি সংশ্লিষ্ট কাহিনি শেখ মুজিবের বিশাল হৃদয়খানি অকুতোভয় পিতা, নিবেদিতপ্রাণ পুত্র বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ’দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার’: রক্তাক্ত ১৫ আগষ্ট আলোকচিত্র
এবিএম মূসা জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১, ফেনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (১৯৫০) এবং লন্ডনের কমনওয়েলথ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা। বাংলাদেশ টেলিভিশন করপোরেশনের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পাকিস্তান অবজারভার-এর বার্তা সম্পাদক, মর্নিং নিউজ ও যুগান্তর-এর সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ছিলেন। একাধিকবার জাতীয় প্রেসক্লাব এবং র সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত। বিবিসি, লন্ডনের সানডে টাইমস-সহ বিদেশি গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালে রণাঙ্গন থেকে খবর পাঠাতেন। একুশে পদক ও জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট পুরস্কারে ভূষিত। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের (১৯৭৩) সদস্য। ২০১২ সালে বেরিয়েছে তাঁর বই মুজিব ভাই। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগেই তিনি শেষ করে যান তাঁর এই আত্মজীবনীর কাজ।