ফ্ল্যাপে লিখা কথা মোজাজফর হোসেন-এর জন্ম ১৯৩৬ সালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার নিকটস্থ মাতুলালয় সারসাকান্দি গ্রামে যেখান থেকে তাঁর পিত্রালয় গুণপালদি গ্রাম আরো দু’মাইল পশ্চিমে। পিতার পুলিশ বিভাগে নানা পদে চাকিরিসূত্রে বদলিজনিত কারণ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা শহরে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এম.এ ডিগ্রি প্রাপ্তির অব্যবহিত পরেই এককালের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ (বর্তমানে দিনাজপুর কলেজ), যেখানে তিনি ছাত্রও ছিলেন, এখানেই তাঁর পেশাজীবনের শুরু। তারপর বিভিন্ন কলেজে যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বরত ছিলেন। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে দর্শন বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে অবসরগ্রহণ করে শিক্ষক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব শ্রেণীকক্ষ অতিক্রম করে বাইরে বিস্তৃত হয়েছে যা তিনি পালন করছেন লেখালেখির মাধ্যমে। লেখার কলমটি হাতে ছিল ছাত্রাবস্থা থেকেই। সেই হাতে-লেখা পত্রিকা বের করার যুগ থেকেই। লেখার উপকরণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বরাবরই তাঁর অনুসন্ধানী দৃষ্টি থেকেছে নানা বিষয়ের গভীরে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জীবনঘনিষ্ঠ ও মানবতাবাদী নানা মননশীল প্রবন্ধ প্রকাশনার মাঝেও তাঁর অনুবাদক পরিচিতিটি কখনো ঢাকা পড়বে না। পাক-আমলে ছাত্রাবস্থাকালেই মনীষী বাট্রান্ড রাসেলের লেখা থেকে চয়নকৃত কিছু কিছু প্রবন্ধের অনুবাদ করেছেন্। অনুবাদ কর্মে ওগুলোই হাতেখড়ি। তারপর থেকে অনুবাদ করে চলেছেন ইংরেজি থেকে বাংলায়, বাংলা থেকে ইংরেজিতে। উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে জর্জ টমসনের ‘মার্কসবাদ ও কবিতা’ ছাড়াও আছে আলফ্রেড গিয়োমোর ‘ইসলাম’ টমাস হার্ডি-র ‘দ্য মেরর অব বাস্টারিব্রিজ’, ‘Kazi Nazrul Islam : Speeches’ (সুব্রত কুমার দাস-এর সাথে)‘Alien' (ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস ‘পরবাস’-এর অনুবাদ) ইত্যাদি। অনুবাদ ছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আছে ‘আরজ আলী মাতুব্বর’ স্মারক গ্রন্থ, ‘ইবনে রুশদ’, গ্রিক দর্শনের রূপরেখা’ ইত্যাদি। যতক্ষণ পারেন কলমটি হাতছাড়া না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা তাঁর।
সূচিপত্র দ্বিতীয় প্রকাশকের ভূমিকা অনুবাদের কথা মুখবন্ধ পূর্বকথা বাক ও যাদু ছন্দ ও শ্রম অনায়াস সৃষ্টি ও অনুপ্রেরণা মহাকা্ব্য নাটকের বিবর্তন ট্রাডেডি ভবিষ্যৎ