মেঘ বলে চৈত্রে যাবে’ মূলত বাংলাদেশের আধুনিকতম কবি আহসান হাবীরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। বাংলাদেশের কাব্যসাহিত্যে তিনি অগ্রগণ্য এবং তার অবদান অপরিসীম। তার কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। "ফটোফি" প্রধানত দেশীয় ফটোগ্রাফি মাধ্যমের প্রসার ও উন্নয়নে কাজ করে থাকে। সেই কাজের ধারাবাহিকতায় এই কাব্যিক উদ্যোগ।
প্রথমেই বলে রাখি- প্রথমবারের মতো করা এই ফটো-অ্যালবামটির জন্য যে ছবিগুলো নির্বাচন করা হয়েছে সেগুলো সর্বশ্রেষ্ঠ, পার্ফেক্ট কিংবা সবচেয়ে উপযুক্ত এমন দাবি আমরা করছি না। তবে অবশ্যই শিল্পোত্তীর্ণ। ফটোফি যেহেতু আলোকচিত্রকলাবিষয়ক একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও সেহেতু এই অ্যালবামটি করতে গিয়ে আমাদের অনেক দিক বিবেচনা করতে হয়েছে। তাই বলে সততাকে জলাঞ্জলি দিইনি। ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচিত আলোকচিত্রীর দুটি দিক গুরুত্ব পেয়েছে। প্রথমত তিনি ভালো ছবি তোলেন এবং দ্বিতীয়ত ফটোফিকে ভালোবাসেন। বিপত্তি আরেকটি আছে- এমনও হয়েছে ফটোফিকে ভালোবাসেন এবং ছবিও ভালো তোলেন তাকেও নিতে পারিনি। কারণ পূর্ব নির্ধারিত কবিতার সাথে তার ছবি খাপ খায় না। অথবা বলা যায় ছবির সাথে কবিতা যায় না। এই ক্ষেত্রে কাউকেই দোষ দেয়া যায় না।
আমাদের এই উদ্যোগে যারা বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। বিশেষ করে যারা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করেছেন তাদের প্রতি ফটোফি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের পোরট্রেট ফটোগ্রাফির জীবন্ত কিংবদন্তি নাসির আলী মামুন প্রচ্ছদ করার জন্য কবির পোরট্রেটটি সরবরাহ করে আমাদেরকে করেছেন ঋণী। সাধুবাদ জানাই অ্যালবামটির সম্পাদকীয় দলের প্রত্যেককে।
যাদের ছবি নির্বাচিত হয়নি তাদের জন্য সুখবর হলো- ফটোফি এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এমনকি একবছর অপেক্ষা নাও করতে হতে পারে। আপনাদেরকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে এমন কর্মসূচি আমরা ঘনঘন হাতে নিতে চেষ্টা করবো। শেষকথা- আপনাদের উৎসাহও আমাদের বড় প্রয়োজন। আশা রাখি তা পাবো। সবার মঙ্গল হোক।