"রাধিকা " বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: সময়কাল আঠারােশাে শতাব্দীর মধ্যভাগ। পলাশির যুদ্ধের কিছুদিন আগে নবদ্বীপের এক বৈষ্ণব কুলদানন্দ গােস্বামী এক অদ্ভুত স্বপ্নে দেখেন তাঁর কুলবিগ্রহ রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তি বিপন্ন। তিন ছায়ামুর্তি হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। অষ্টধাতুর শ্রীরাধিকাকে নবদ্বীপের সেই অস্থির রাজনৈতিক সময়ে তিনি ঠিক করেন ইংরেজ, নবাব এবং ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের হাত থেকে কুলবিগ্রহকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়, গােপনে রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া তাঁর অনুগামী শ্রীশনারায়ণ গােস্বামীর সাহায্যে দ্বারকেশ্বর নদীর কুলে শ্যামডিহিতে প্রতিষ্ঠিত হল রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তি। বিংশ শতাব্দীর আশির দশক এই উপন্যাসের দ্বিতীয় সময়কাল। শ্যামডিহি রাধাকৃষ্ণ মন্দির। ট্রাস্টের প্রধান তখন শ্রীশনারায়ণের বংশধর প্রবীণ শশাঙ্কনারায়ণ গােস্বামী। এই সময়কাল শেষ হয়। দুটি খুন, অষ্টধাতুর রাধামূর্তি চুরি এবং এক শিশুকন্যা জন্মের মধ্যে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় শশাঙ্কনারায়ণ, শীর্ষনারায়ণ, গােপাল চক্রবর্তী এবং শর্মিষ্ঠার নাম। উপন্যাসটির তৃতীয় সময়কাল বর্তমান সময়ের আমেরিকার মিশিগান প্রদেশের ডেট্রয়েট শহরতলির নর্থভিল। প্রৌঢ় শীর্ষনারায়ণ এ সময়ে নিউ ইয়র্কে থাকেন। তাঁর মেয়ে রাধিকা ডেট্রয়েটে পড়াশুনার জন্য থাকে। রাধিকা এবং তার বন্ধু। কণিষ্ক খুঁজে পায় পঁচিশ বছর আগে শ্যামডিহি মন্দির থেকে চুরি হয়ে যাওয়া রাধামূর্তিটি। কী হয়েছিল রাধামূর্তিটির শেষপর্যন্ত ? কী ছিল এক ছােট্ট শিশুকন্যার জন্ম রহস্য? কী ছিল রাধিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক?
জন্ম ১৯৬৪ সালে ব্যারাকপুরে। বাল্যকাল কেটেছে শ্যামনগরে। স্কুল, ইছাপুর নর্থল্যান্ড হাই স্কুল। পেশা, তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ দশ। ছোট গল্প আশি। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: রাধিকা আয় ঘুম, অন্তরাল, কালযাত্রী, রায়মঙ্গলপুর ব্যান্ড, অসমাপ্ত, প্রজ্ঞাসূত্র অন্তরাল ২০১৩ সালে চলচ্চিত্রায়িত। কিছু ছোটগল্প বেতার নাটক হয়েছে। বেশ কয়েকটি গল্প মারাঠী ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশ পত্রিকা আয়োজিত রহস্য গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার এবং ২০০৭ সালে দেশ পত্রিকা আয়োজিত কল্প বিজ্ঞান গল্প প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার। ২০১৩ সালে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় স্মারক সাহিত্য সম্মান প্রাপ্ত।