সারসংক্ষেপ মহান আল্লাহ মানুষের জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা করার জন্য কে তাদের মধ্যে আমলে উত্তম। তাই ঈমান আনার পর পরই যে বিষয়টি ব্যক্তির ওপর বর্তায় তা হলো- আমল। মু‘মিনের আমল (কাজ) কবুল হওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত কুরআন ও সুন্নায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। Common sense-এর ভিত্তিতেও তা সহজে বোঝা যায়। শর্তসমূহ হলো- ১. আমলটি পালন করার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সর্বক্ষণ সামনে রাখা, ২. আমলটির ব্যাপারে আল্লাহর কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্য জানা, ৩. মহান আল্লাহর প্রণয়ন করা ও জানিয়ে দেওয়া পাথেয়কে আমলটির উদ্দেশ্য সাধনের সহায়ক বিষয় (মাধ্যম) মনে করে পালন করা। ৪. আল্লাহর জানানো ও রাসূল (স.)-এর দেখানো নিয়ম-কানুন (আরকান-আহকাম) অনুসরণ করে আমলের অনুষ্ঠানটি করা। ৫. আনুষ্ঠানিক আমলের ক্ষেত্রে, প্রতিটি অনুষ্ঠান থেকে আল্লাহর দিতে চাওয়া শিক্ষা মনে-প্রাণে গ্রহণ করা। ৬. আনুষ্ঠানিক আমলের অনুষ্ঠান পালন করে গ্রহণ করা শিক্ষাগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। ৭. ব্যাপক কর্মকা-মূলক আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া মৌলিক বিষয়ের একটিও বাদ না দেওয়া। ৮. ব্যাপক কর্মকা-মূলক আমলে থাকা বিভিন্ন বিষয়, আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া গুরুত্ব অনুযায়ী আগে বা পরে পালন করা। উল্লিখিত ৮টি শর্তের শ্রেণিবিন্যাস হলো- সাধারণ শর্ত ৪টি, আনুষ্ঠানিক আমলের জন্য ৪ ২=৬টি এবং ব্যাপক কর্মকা- যেখানে আনুষ্ঠানিক কাজও আছে, সেখানে ৪ ২ ২=৮টি। ঐ শর্তগুলোর শুধু একটির প্রচলন বর্তমান মুসলিম সমাজে মোটামুটি আছে। সেটি হলো আমলের অনুষ্ঠানটি পালন করা। তাই, বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিমের সালাত, যাকাত, সিয়াম, হাজ্জসহ অন্যান্য আমল কবুল হচ্ছে কি না এটি এক বিরাট প্রশ্ন। মুসলিদের বর্তমান অধঃপতিত অবস্থার একটি মূল কারণ হলো- আমল কবুল হওয়ার সুনির্দিষ্ট শর্তসমূহ না জানা। পুস্তিকাটিতে আল্লাহ তা‘য়ালার কাছে আমল কবুল হওয়ার শর্তগুলো দলিলভিত্তিক স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বদরবারে মুসলিমদের হারানো স্থান ফিরে পেতে বইটি ব্যাপক সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।
অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।