"ছায়া সরণীতে রোহিণী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: অতি অল্পদিনের আলাপেই চিত্রশিল্পী অশােভনেশকে বিয়ে করেছিল রােহিণী। শােভনেশের আঁকা ছবির প্রদর্শনীতে প্রথম দেখা। এর ঠিক পরেই একটা পার্টিতে। আলাপ থেকে অন্তরঙ্গতায় পৌঁছতে সময় লাগেনি। রােহিণীর স্বাস্থ্যই শুধু ভালাে নয়, চেহারাটাও চটকদার । যে-কোনও পুরুষেরই নজর কাড়বে। বিয়ের পর রােহিণী ক্রমশ জানতে পারে। শােভনেশের নানান বাতিকের কথা। জানতে পারে, শােভনেশের বংশে রয়েছে পাগলামির ধারা। টের পায়, নগ্ন নারীশরীরের ছবি আঁকার দিকে শশাভনেশের অদ্ভুত দুর্বলতা রয়েছে। এমন-কি, তার নুড স্টাডির মডেল যে-মহিলা, তার সঙ্গেও আলাদা একটা সম্পর্ক রয়েছে শােভনেশের। বিয়ের ছ-মাস না-কাটতেই শােভনেশকে যেতে হল জেলে। সেই মহিলা মডেলকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে শােভনেশের । রােহিণীর সঙ্গে প্রণয়সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এক ক্রিকেটার, রাজন। শােভনেশকে ডিভাের্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রােহিণী। রাজনকে নিয়ে নতুন সংসার পাতবে সে। ঠিক এমন সময়েই কানে এল খবরটা । বহরমপুরের জেল ভেঙে নাকি বেরিয়ে এসেছে। শােভনেশ ভয় পেয়ে যায় রােহিণী। শােভনেশ যদি ফিরে আসে। তার জীবন থেকে সরে গিয়েও সরছে না মানুষটা। যেদিকেই তাকাতে যায় রােহিণী, সব দিকে সেই একই ছায়া। সে-ছায়া শােভনেশের। শুধুই কি তার ? ‘ছায়াসরণিতে রােহিণী’ মতি নন্দীর কলমে প্রথম রহস্য-উপন্যাস। কিন্তু এমনই কুশলী হাতে এই সুবিশাল কাহিনীর প্রতিটি শব্দ গেঁথেছেন এই পরিণত কথাকার, এমনই টানটান কৌতূহল ছড়িয়ে দিয়েছেন শ্বাসরােধকারী একাহিনীর প্রতিটি পৃষ্ঠায়, এমনই নিপুণ যুক্তি-বিশ্লেষণে উন্মােচিত করেছেন যাবতীয় রহস্যের জট যে, মনেই পড়ে না, এর আগে কোনও রহস্য-উপন্যাস লেখেননি মতি নন্দী। পাঠকের প্রত্যাশাকে। পুরােপুরি মিটিয়ে নতুনতর প্রত্যাশার দিকে আবার ঠেলে দেবে ‘ছায়াসরণিতে রােহিণী। এ-উপন্যাস সূচনা করুক আরেক আরম্ভের।
Moti Nandi ( জন্ম: ১০ জুলাই ১৯৩১ - মৃত্যু: ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতা ভিত্তিক একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস 'কোনি'।