"শঙ্খিনী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ঘটনা তাৎপর্যহীন। তা ঘটে কেবলমাত্র জীবনকে টেনে নিয়ে যাবার জন্য। জন্মদাগ থেকে মৃত্যুচিহ্ন অবধি যে-পথ তা-ই জীবনের পথ। সেই পথ আসলে আবার একটা শূন্যস্থান। মহাবিশ্বের কোনও এক রহস্যজনক সংজ্ঞাহীন সত্তার নির্দেশে জীবকে যেন অনন্যোপায় হয়েই পূরণ করে চলতে হবে এই শূন্যস্থানকে। তাকে জন্মাতেই হবে, তাকে মরতেই হবে, মাঝখানে ঘটনাচক্র দিয়ে ভরিয়ে তুলতেই হবে নিশ্বাস। সে কার্যকারণ জানে না, তার এসবে আদতে কোনও | প্রয়ােজনই নেই। কোনও লক্ষ্যও নেই তার কোথাও পৌছনাের। কিন্তু তাকে চলতে হবে, থামলে চলবে না। জীবনের এই স্রোতকে মেনে নেবে সে। যেমন-তেমন একটা কাঠের নৌকোর মতাে তখন ভাসিয়ে দেবে নিজেকে। কিন্তু তারপরও এই আদি অন্তহীন টাইম ও স্পেসের মধ্যে ব্যক্তিমানুষের জীবনের গুরুত্ব থাকবে তার কাছে। এই উপন্যাস আসলে জীবনের সেই স্রোতগাথা, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র জীবন নিজে। যদিও আখ্যানে বিচিত্র সব নাম তার, বিচিত্র ছদ্মবেশ, সে কখনও ‘রাত্রিমণি’ কখনও রণদেব’ বা ‘মুকুল। কখনও ‘তরী’ ‘ইরাবান’ বা ‘শাহরুখ খান’! এদের সবাইকে নিয়ে জীবনের বৃন্তমূলে গাঁথা এক বিস্ফোরক উপন্যাস শঙ্খিনী।