“লোটাকম্বল” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপের কথা: জনপ্রিয় উপন্যাস ‘’লোটাকম্বল’ ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-সুখের টানাপোড়েনে তৈরি শাশ্বত জীবনবেদ। ভেঙে যাওয়া যৌথ পরিবারের এক নিঃসঙ্গ প্রৌঢ় উপন্যাসটির সম্পদ, হিমালয়ের মতো যার ব্যক্তিত্ব, অসম্ভব যার আদর্শনিষ্ঠা। বাইরে কোমল লাবণ্য। তার মা-হারা যুবক সন্তানের মধ্যে তিনি সঞ্চারিত করতে চান জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ আর মূল্যবোধ। দুই পুরুষের মূল্যবােধ আর দৃষ্টিভঙ্গির ঠোকাঠুকির মধ্যে আর-এক পুরুষ। তিনি বৃদ্ধ মাতামহ। আধ্যাত্মিকতার বাতিটি তুলে যিনি খুঁজে পেতে চান সেই চির-চাওয়া পরমপুরুষটিকে। বান্ধবী মুকু, সংগীতসাধক মেলে সুবৃহৎ, ব্যঞ্জনামুখর এই উপন্যাসে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘লোটাকম্বল’ যেন অগণিত চরিত্রের বহুবর্ণরঞ্জিত এক বিরাট জীবনবৃত্ত ভেঙে মন ছুটে যেতে চায় উত্তরণের পথে, উপলব্ধি হয়- বৈরাগ্য অপ্ৰতিদ্বন্দ্বী। “লোটাকম্বল” বইয়ের পরবর্তী ফ্ল্যাপের কথা: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে।সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম প্রকাশিত লেখা একটি গল্প— ‘‘সারি সারি মুখ”। নাট্য-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অবস্থায় কয়েকটি নাটক রচনা। প্রথম ধারাবাহিক সুদীর্ঘ লেখা ‘দেশ’ পত্রিকায় সঞ্জয় ছদ্মনামে “জীবিকার সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ” পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত। “দেশ’ পত্রিকায় প্ৰথম প্ৰকাশিত গল্প- “চকমকি’। ১৯৮১ সালে পেয়েছেন “আনন্দ” পুরস্কার।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি ১৯৩৬ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং হুগলী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহন করেন । তিনি অনেক উপন্যাস,ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন । তাঁর সবথেকে বিখ্যাত উপন্যাস লোটাকম্বল যা দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর রচনায় হাস্যরসের সাথে তীব্র শ্লেষ ও ব্যঙ্গ মেশানো থাকে ।ছোটদের জন্য তাঁর লেখাগুলিও খুবই জনপ্রিয় । তাঁর সৃষ্ট ছোটদের চরিত্রের মধ্যে বড়মামা ও ছোটমামা প্রধান ।