"ময়ূরাক্ষী, তুমি দিলে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ময়ুরাক্ষী। নামের মতােই কল্লোলিনী, জীবনের সবুজ উল্লাসে ভরপুর এক যুবতী। তিন চিত্রকর বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল পলাশীর কাছাকাছি মীরপুরে, এক স্বপ্নের গ্রামে। সে-গ্রামের শস্যক্ষেত্রে নাকি প্রতি পূর্ণিমায় নেমে আসেন দেবী লক্ষ্মী। এই অদ্ভুত বিশ্বাসের জগতে, হরিণী প্রাণের জগতে ফুলের সুগন্ধের মতাে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছিল ময়ূরাক্ষী। একটু-যা ব্যথিত হয়েছে। সুনীত, ময়ূরাক্ষীর প্রেমিক। একান্তভাবে প্রেমিকাকে কাছে পায়নি সে, তাই বেদনা। মীরপুর থেকে ফেরার পথে ঘটল বিধ্বংসী দুর্ঘটনা। দুই বন্ধুর মৃত্যু বাস্তব্ধ করে দিল ময়ূরাক্ষীকে। বহু চেষ্টা করেছে সুনীত প্রেমিকাকে কথা বলাতে চেষ্টা করেছে ময়ূরাক্ষীর বাবা-মা-ভাই-বােন প্রত্যেকে। সে এক দুঃসহ টানাপােড়েন। হঠাৎই রুদ্ধকণ্ঠ খুলে গেল একদিন। আর তখনই জানা গেল এক চরমতম দুঃসংবাদ। ময়ূরাক্ষী অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু কার সন্তান তার গর্ভে ? সুনীতের! হায়াৎ-এর! চয়নের! কার ? এই প্রশ্নের সূত্রেই উন্মােচিত নিগূঢ় প্রাণের এক উপাখ্যান। ময়ুরাক্ষী যা করেছে, তা একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব। ময়ূরাক্ষী বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বলতমা নারী, এক স্পর্ধী ব্যতিক্রম। বহুর ভিড়ে স্বাতচিহ্নিত উপন্যাস, ‘ময়ূরাক্ষী, তুমি দিলে।
Harsha Dutta-র জন্ম ১৯৫৫, কলকাতায়। শিক্ষা : বঙ্গবাসী কলেজ-স্কুল, রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম বিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীর এম. এ. এবং এম. ফিল.। স্কুলের দিনগুলিতেই সাহিত্যচর্চার হাতেখড়ি। কলেজ-জীবনে গল্প লিখেছেন বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে। ১৯৮৪-তে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কামাদি কুসুম সকলে’ গল্পটির মাধ্যমে বৃহত্তর আত্মপ্রকাশ। এই পত্রিকাতেই মুদ্রিত মিতায়তন প্রথম উপন্যাস ‘অমল’। উপন্যাসটি সর্বস্তরের পাঠকের অভিনন্দন-ধন্য। প্রথম বড় উপন্যাস ‘ময়ূরাক্ষী, তুমি দিলে’ বহুর ভিড়ে এক স্বাতচিহ্নিত সৃষ্টি। জীবিকা : সাংবাদিকতা। ‘দেশ’ পত্রিকার সহ সম্পাদক। ‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯২) এবং ‘বিচয়ন সাহিত্য পুরস্কার’ (১৯৯৬)-এ ভূষিত।