সূচিপত্র *পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও শিক্ষা বোর্ডের শাস্তি ব্যবস্থা *একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার নামে নোতুন নোতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে নিক্ষেপের ব্যবস্থা *বাংলাদেশে মাদ্রসা শিক্ষার বিপজ্জনক পরিণতি *শিক্ষার বিরুদ্ধে সর্বমুখী চক্রান্ত *বাঙলাদেশের ফেব্রুয়ারী মাস *ভাষা আন্দোলন ও বর্তমান বাঙলাদেশের পরিস্থিতি এখনকার ছাত্র আন্দোলনের চরিত্র *সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের ধর্মঘট *বাঙলাদেশে পাকিস্তানী সামরিক সংস্কৃতি *শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বই কেনা নিয়ে পুরনো দুর্নীতির নোতুন কাহিনী *প্রাথমিক শিক্ষক ধর্মঘট শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের প্রতিফলন *বর্তমান শিক্ষক আন্দোলন ও প্রাসঙ্গিক কথা *কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি শিক্ষাবিরোধী চক্রান্ত *বাঙলাদেশে শিক্ষা সংস্কৃতির কেন বেহাল অবস্থা? *দুর্বৃত্ত শাসক শ্রেণীর কবলে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি *বাঙলা একাডেমীর বইমেলায়‘ভালবাসা’র স্পর্শ *ফেব্রুয়ারী ২০০৭-এর ভা্বনা *বাঙলা একাডেমীর বইমেলা ও প্রাসঙ্গিক চিন্তা *পহেলা বৈশাখের উৎসব ও তার উল্টো পিঠ *বাঙলাদেশের নোতুন প্রজন্ম প্রসঙ্গ *তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরী প্রসঙ্গে * ১৮৫৭ সালের মহাঅভ্যুত্থানের ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন প্রসঙ্গ *বাঙলাদেশের স্বাধীনতার ৩৬ বছর *বাঙলাদেশে সাংস্কৃতিক সংকটের নোতুন পর্যায় *বাঙলাদেশে প্রকাশনা শিল্প ও সরকারী নীতি *বাঙলা একাডেমীর বইমেলার চিত্র *‘ভাষাসৈনিকদের’যুগে একুশে ফেব্রুয়ারী *একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রতিদ্বন্ধী চৌদ্দই ফেব্রুয়ারী *বাঙলা একাডেমীর মেলার নিয়ম-কানুন প্রসঙ্গে *লালন ও বাঙলাদেশের ইতিহাস চর্চা *বাঙলাদেশে উর্দুভাষীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে *পহেলা বৈশাখ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন *বাঙলাদেশে পহেলা বৈশাখ *ফিল্যারথ্রলি আর এন জি ও-র বদমাইশি এক কথা নয় *আত্মকেন্দিকতা ও ভোগমগ্নতার সংস্কৃতি *বাঙলাদেশে অপরাধ চর্চা ও সংবাদপত্র *ভাস্কর্য ও মুর্যালের ওপর বর্বরদের হামলা *যারা ভাস্কর্য ইত্যাদির ওপর হামলা করছে তাদের আসল পরিচয় কি? *শারুখ খানদের ঢাকা প্রদর্শনী প্রসঙ্গ *বাঙলাদেশে সংস্কৃতির নোতুন সংকট
বদরুদ্দীন উমরের জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর পশ্চিম বাঙলার বর্ধমান শহরে। মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, রাজনীতিবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি বাঙলাদেশে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে এম. এ. পাশ করার পর ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্ৰী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকে প্রকাশিত তাঁর তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তাঁর বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।