‘টবে বাগান’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ বহু আগে মফস্সলে তো বটেই, এই কলকাতা শহরেও অনেক বাড়ির সামনে বা পিছনে একফালি জমিতে বাগান দেখা যেত। ফুলের গাছ, মরশুমি ফুলের গাছ, পাতাবাহার কিংবা অন্য কোনও বাহারি লতার সমাহার চোখে পড়ত। কিন্তু এখন সেই একখণ্ড শ্যামলিমার স্পর্শ আমাদের জীবন থেকে উধাও। শহরে বাড়ি সংলগ্ন জমি প্রায় নেই। মফস্সলে কিংবা পরিকল্পনা মাফিক গড়ে ওঠা টাউনশিপে এখনও বাগান হারিয়ে যায়নি। তবে বাসস্থানের সমস্যা যেখানে ক্রমবর্ধমান, সেখানে বাগান করার মতো জমি রাখাই দায়। অথচ মানুষ ফুল ভালবাসে, গাছ ভালবাসে, বৃক্ষলতার সঙ্গে তার অনাদিকালের সম্পর্ক। একটু সবুজের স্পর্শ পাওয়ার জন্য তার মন আকুল হয়ে ওঠে। নিজস্ব বাসস্থানে— সে ফ্ল্যাট কিংবা ভাড়াবাড়ি যাই হোক, মানুষ সেখানে বারান্দার কোণে, ছাদে, আলসেতে, ঘরের ভেতরে সামান্য একটু জায়গা পেলেই টবসুন্ধু গাছ এনে বসায়। সাধ্যমতো তার পরিচর্যা করে। অনেক কষ্টে ফুল ফোটায়, বাহারি পাতায় আবাসের শোভা বাড়িয়ে তুলতে চায়। তার এই স্বপ্ন ও চাওয়ার কথা মনে রেখেই এই বই ‘টবে বাগান’। জমির বদলে কেবলমাত্র টবে, আমাদের মনের মতো বাগান কীভাবে সম্ভব হয়ে উঠবে, তার নানা দিশা এখানে।
তাঁর জন্ম ১৯৫৮ সালে, কলকাতায়। প্রথাগত শিক্ষা শেষে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডে বর্তমান কর্মরত। লেখালেখির শুরু ১৯৯১ সালে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ইত্যাতি প্রকাশিত হয়েছে। এখন প্রথম সারির বাংলা দৈনিক পত্রগুলিতে নানা ধরনের রচনা নিয়মিত লেখেন। রবীন্দ্রসংগীত, ফুটবল ও সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র-প্রেমী শ্রীরায় টবে চাষপদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা করেছেন।ফ্ল্যাটবাসীদের কথা মনে রেখে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ধারাবিহক লিখেছেন একটি বাংলা দৈনিকে।